ভারতীয় ক্রিকেট দল আইসিসি ওয়ানডে বিশ্বকাপে প্রথম ম্যাচ জিতে দুর্দান্ত শুরু করেছে। ৮ অক্টোবর চেন্নাইয়ে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে ৬ উইকেটে জিতে যায়। কেএল রাহুল, বিরাট কোহলি এবং রবীন্দ্র জাদেজা দারুণ পারফর্ম করে ম্যাচ জেতান। তবে এই ম্যাচে শেষদিকে ছক্কা মারায় ট্রোলড হচ্ছেন হার্দিক পান্ডিয়া।
ভারতীয় দল ২০০ রান তাড়া করতে নেমে ১৬৭ রানে চতুর্থ উইকেট হারিয়েছিল। তখন রাহুল ৭৫ রান করে অপরাজিত ছিলেন। ভারতীয় দলকে তখন জয়ের জন্য ৭৪ বলে ৩৩ রান করতে হবে। এরপর পান্ডিয়া এসে একটি ছক্কা মেরে ম্যাচে মোট ১১ রান করেন। এই সময়ে তিনি রাহুলকে স্ট্রাইক দিলে তাঁর শতরান হতে পারত। এমনটাই মত ভারতীয় ক্রিকেট ফ্যানদের। ৪২ তম ওভারে ভারতীয় দলের জয়ের জন্য দরকার ছিল ৫ রান। রাহুল অফ কভারের দিকে চারের আশায় একটি বড় শট খেলেন, কিন্তু বলটি সরাসরি সীমানা পেরিয়ে যায় এবং ভারতীয় দল ম্যাচ জিতে নেয়। কিন্তু রাহুলের শতরান হয়নি। শেষ অবধি ৯৭ রান করে অপরাজিত থাকেন।
রাহুলের পরিকল্পনা ছিল চার ও ছক্কা মেরে জয়ের পাশাপাশি সেঞ্চুরি করার। কিন্তু তা হয়নি বলেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভক্তরা এর জন্য পান্ডিয়াকে দায়ী করতে শুরু করে।
এমন ঘটনা এবারেই প্রথম নয়, এর আগেও হয়েছিল। এই বছরের আগস্টে ভারতীয় দল ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে ৫ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলেছিল। সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে ৪৯ রান করে অপরাজিত ছিলেন তিলক ভার্মা। তাঁকে হাফ সেঞ্চুরি করতে না দিয়ে ছক্কা মেরে দলের জয় নিশ্চিত করেন। এই ঘটনার পরেও সোশ্যাল মিডিয়ায় বাজেভাবে ট্রোলড হন তিনি। তিলক টানা দ্বিতীয় হাফ সেঞ্চুরি করার সুযোগ হারান।
তবে পান্ডিয়াই একমাত্র খেলোয়াড় নন যাকে এমন সমালোচনার মুখোমুখি হতে হয়েছে। এর আগে রাহুল দ্রাবিড় সহ অনেক দুর্দান্ত খেলোয়াড়কে একই রকম সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল। অভিযোগ উঠেছিল, সচিন তেন্ডুলকরকে ডাবল সেঞ্চুরি করতে দেননি ক্যাপ্টেন দ্রাবিড়। ২০০৪ সালের মার্চ মাসে, ভারতীয় দল পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ঐতিহাসিক মুলতান টেস্ট খেলেছিল। প্রথম ভারতীয় হিসেবে টেস্টে ট্রিপল সেঞ্চুরি করলেন বীরেন্দ্র শেহবাগ। এই ম্যাচে আরেকটি রেকর্ড গড়ার কথা ছিল, কিন্তু ইনিংস ডিক্লেয়ার করে দিয়েছিলেন ক্যাপ্টেন রাহুল দ্রাবিড়। ফলে সচিন তেন্ডুলকরের ডাবল সেঞ্চুরির রেকর্ড হাতছাড়া হয়।