World Cup 2023 Unreachabale Records: ওয়ানডে ক্রিকেট ওয়ার্ল্ড কাপের শুরু ৫ অক্টোবর থেকে হচ্ছে। যা ১৯ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে। এবার ওয়ার্ল্ডকাপ ক্রিকেটে রথী মহারথীদের দিকে নজর থাকবে। কিছু রেকর্ডের দিকে নজর থাকবে। যা হয়তো এবারও ভাঙতে পারবে না কেউ। যদি ভাঙেও তাহলে এই সমস্ত খেলোয়াড়দের নিজেদের ছাপিয়ে গিয়ে পারফরম্যান্স করতে হবে। যদিও ক্রিকেট সব সময়ই অনিশ্চয়তার খেলা এই পরিস্থিতি যদি রেকর্ড ভেঙে যায় তাহলেও কোনও আশ্চর্যের চেয়ে কম হবে না। আমরা আপনাকে জানিয়ে দিই যে, এই ধরনের পাঁচটি রেকর্ড এর বিষয়ে যা ভেঙে ফেলা অত্যন্ত কঠিন কাজ।
ক্রিকেট ওয়ার্ল্ড কাপ সব চেয়ে বেশি উইকেট
ক্রিকেট ওয়ার্ল্ড কাপে সবচেয়ে বেশি ৩৯ ম্যাচে ৭১ টি উইকেট নিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার পেস বোলার গ্লেন ম্যাকগ্রা। তারপরে মুতাইয়া মুরুলিধরন ৬৮ টি এবং লসিথ মালিঙ্গা ৫৬ টি, পাকিস্তানের ওয়াসিম আক্রাম রয়েছেন ৫৫ টি উইকেট নিয়ে চতুর্থ স্থানে। এরপরে বর্তমান সময়ে ক্রিকেট খেলতে থাকা অস্ট্রেলিয়ার মিচেল স্টার্ক রয়েছেন। তিনি ১৮ ম্যাচে ৪৯ টি উইকেট নিয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে এই ওয়ার্ল্ড কাপে ২৩ টি উইকেট নিলে তিনি নিজের দেশের গ্লেন ম্যাকগ্রার রেকর্ড ভাঙতে পারেন। কোনও ওয়ার্ল্ড কাপ সবচেয়ে বেশি উইকেট নেওয়ার রেকর্ডের নাম রয়েছে তাঁর। তিনি ২০১৯ ওয়ার্ল্ড কাপে ১০ ম্যাচে ২৭ টি উইকেট নিয়েছিলেন।
সচিন টেন্ডুলকার
ক্রিকেট ওয়ার্ল্ড কাপে সবচেয়ে বেশি রান ক্রিকেটের মহাদেবতা সচিন টেন্ডুলকারের দখলে। ১৯৯২ সাল থেকে নিয়ে ২০১১ সাল পর্যন্ত মোট ৬ টি ওয়ার্ল্ড কাপ খেলেছেন। এই সময়ের মধ্যে তিনি ৪৫ টি ওয়ানডে ওয়ার্ল্ড কাপ ম্যাচে ২২৭৮ রান করেন। বর্তমানে এখনও কোনও ক্রিকেটার এই রেকর্ডের আশপাশেও নেই। ওয়ার্ল্ড কাপের ২৬ টি ম্যাচে ৪৬ এর গড়ে বিরাট কোহলি রান করেছেন ১০৩০ রান। সচিনের পর রিকি পন্টিং ১৭৪৩, কুমার সাঙ্গাকারা ১৫৩২ এবং এবি ডেভিলিয়ার্স ১২২৭ রান করেছেন। এর মধ্যে এবারও সচিন টেন্ডুলকারের এই রেকর্ড সুরক্ষিত বলেই মনে হচ্ছে যদি না কোন বড় অঘটন ঘটে যায়।
কুমার সঙ্গোকারা
ওয়ার্ল্ড কাপে লাগাতার চারটি সেঞ্চুরি করেন তিনি। ২০১৫ বিশ্বকাপের সময়ে শ্রীলঙ্কার কুমার সাঙ্গাকারা লাগাতার চার ম্যাচে চারটি সেঞ্চুরি করেন। তিনি বাংলাদেশ, ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া এবং স্কটল্যান্ডের বিরুদ্ধে এই কীর্তি স্থাপন করেছেন। তিনি ছাড়া কোনও খেলোয়াড় ওয়ার্ল্ড কাপে লাগাতার ৪ টি সেঞ্চুরি করতে পারেনি। ভারতীয় ক্যাপ্টেন রোহিত শর্মা ২০১৯ ওয়ার্ল্ড কাপে ৩ টি সেঞ্চুরি করে এই রেকর্ডের কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিলেন।
রোহিত শর্মা
কোন একটা ওয়ার্ল্ড কাপে সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরির রেকর্ডধারী এমনিতে রোহিত শর্মা। ২০১৯ ক্রিকেট ওয়ার্ল্ড কাপের ৯ টি ম্যাচে ৬৪৮ রান করেন। এর মধ্যে পাঁচটি সেঞ্চুরি রয়েছে। এটি কোনও একটি ওয়ার্ল্ড কাপে সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরি করা খেলোয়াড়। কুমার সাঙ্গাকারা ২০০৫ এর চারটি সেঞ্চুরি করেছিলেন।
সচিন টেন্ডুলকার একটা ওয়ার্ল্ডকাপে সবচেয়ে বেশি রান
কোনও একটি ওয়ার্ল্ড কাপের আসরে সবচেয়ে বেশি রান করার রেকর্ড পকেটে। সচিন টেন্ডুলকার ২০০৩ ওয়ার্ল্ড কাপে ১১ টি ম্যাচে ৬৭৩ রান করেন। ম্যাথিউ হেডেন ২০১৭ ওয়ার্ল্ড কাপে ১১ ম্যাচে ৬৫৯ রান করেছিলেন। সেখানে রোহিত শর্মা ২০১৯ সালের ওয়ার্ল্ড কাপে টেন্ডুলকারের রেকর্ড ভাঙার খুব কাছাকাছি ছিলেন।
ওয়ার্ল্ড কাপে এক ওভারে ছটি ছয়
২০০৭ সালের ক্রিকেট ওয়ার্ল্ড কাপে ১৬ মার্চ সাউথ আফ্রিকার হার্শেল গিব্স এক ওভারে ৬টি মেরে ক্রিকেট জগতে হৈচৈ ফেলে দিয়েছিলেন।
লসিথ মালিঙ্গা ৪ বলে ৪ টি উইকেট
ওয়ানডে বিশ্বকাপে কোনও একটি বোলার দ্বারা লাগাতার ৪ বলে চারটি উইকেট নেওয়ার একমাত্র কীর্তি রয়েছে শ্রীলংকার পেস বোলার লসিথ মালিঙ্গার দখলে। শ্রীলংকার মালিঙ্গা ২০০৭ ওয়ার্ল্ড কাপে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে এই কীর্তি স্থাপন করেছেন। মালিঙ্গা শন পোলক, অ্যান্ড্রিউ হল, জ্যাক ক্যালিস এবং মাখায়া এন্টিনিকে আউট করেন। এই রেকর্ড ভাঙা এই বিশ্বকাপে তো বটেই বহু বছরের আসন্ন বিশ্বকাপে অক্ষত বলে মনে হচ্ছে।
মার্টিন গুপটিল সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত স্কোর
ওয়ানডে বিশ্বকাপে কেবল দুটি ডাবল সেঞ্চুরি করা হয়েছে। যার মধ্যে ২০১৫ সালের ওয়ার্ল্ড কাপের সময় ক্রিস গেইল জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে ২১৫ রানে করে ওয়ার্ল্ড কাপে প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি করেন। এরপর নিউজিল্যান্ডের মার্টিন গুপটিল, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ২৩৭ রানের একটি ইনিংস খেলে বিশ্বকাপে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানের ইনিংস খেলেছেন।
ওয়ানডে বিশ্বকাপে লাগাতার জয়
ক্রিকেট ওয়ানডে বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ জেতার রেকর্ড অস্ট্রেলিয়ার নামে রয়েছে। তারা ১৯৯৯ সালের ২০ জন এবং ১৯ মার্চ ২০১১ সালে মধ্যে ২৭ টি ম্যাচ লাগাতার জিতেছেন। এই সময় তারা তিন তিন বার ওয়ার্ল্ড কাপ খেতাব জেতেন। ওয়ার্ল্ড কাপে অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে বেশি ৭৪.৭৩ শতাংশ জয়ের রেকর্ড রয়েছে। সমস্ত ওয়ার্ল্ড কাপ ম্যাচে ৯৪ টি ওয়ার্ল্ড কাপ ম্যাচের মধ্যে ৬৯টিতে জিতেছে। কেবলমাত্র ২৩ টি ম্যাচ হেরেছ।