বিশ্বকাপে সেমিফাইনালে যাওয়ার আশা টসের সময়ই অনেকটা কমে গিয়েছিল। শনিবারের ম্যাচ যত এগিয়েছে ততই আশা কমেছে। তবে এবার সরকারিভাবে বাবর আজমদের বিদায় হল।
নিউজিল্যান্ডের কাছে রান রেটের ব্যবধানে পিছিয়ে যাওয়ায় শেষ চারে যাওয়া হল না পাকিস্তানের। কলকাতা থকেই করাচির টিকিট কাটতে হচ্ছে বাবর আজমদের। ইংল্যান্ড প্রথমে ব্যাট করে ৩৩৭ রান করে। এই রান ৬.৪ ওভারে তাড়া করতে হত। যা অসম্ভব ছিল। নিউজিল্যান্ড বিরাট রান রেট টপকাতে পাকিস্তানের সামনে কঠিন অঙ্ক ছিল। বাবর আজম টসে হারের পর সেই অঙ্ক এমনিতেই কঠিন হয়ে যায়। রান তাড়া করতে নেমে কাজ যে সহজ হবে না, এটা আগেই বোঝা গিয়েছিল। সেটাই হয়েছে। ৩৩৮ রানের লক্ষ্য ৬.৪ ওভারে তোলা কোনও দলের পক্ষেই সম্ভব নয়। কারণ প্রতি বলে ছয় মারলেও ৪০ বলে ২৪০ রানের বেশি তোলা সম্ভব নয়। ক্রিকেটীয় নিয়মে তাই রান তাড়া করতে নামার আগেই ছিটকে গিয়েছিল পাকিস্তান।
শুরু থেকেই পাক ক্রিকেটাররা বুঝে গিয়েছিলেন এটাই এবারের বিশ্বকাপে তাঁদের শেষ ম্যাচ। ফলে শাহিন শাহ আফ্রিদি ছাড়া কেউই সেভাবে ছন্দে ছিলেন না। বাবর আজম আবার দ্বিতীয় ওভারেই নিয়ে আসেন হ্যারিস রাউফকে। তাতে যদিও লাভ হয়নি। প্রচুর রান খেয়েছেন এই ডান হাতি পেসার। পরের দিকে যদিও ৩ উইকেট নিয়েছেন তিনি। তবে ততক্ষণে ইংল্যান্ডের রান চলে গিয়েছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। ৮২ রানে ডেভিড মালানের উইকেট হারায় ইংল্যান্ড। যদিও সেটা স্পিনার ইফতিকারের বলে। হাফ সেঞ্চুরি করে আউট হন জনি বেয়ারস্টো। দলের রান তখন ১০৮।
জো রুট ৭২ বলে ৬০, বেন স্টোকস ৭৬ বলে ৮৪ রানের ইনিংস খেলে ইংল্যান্ডের রান এগিয়ে নিয়ে যান। জস বাটলার ১৮ বলে ২৭ রান করে রান আউট না হলে রান আরও বাড়তে পারত। ১৭ বলে ৩০ রানের ক্যামিও খেলেন হ্যারি ব্রুক। এদিন রান পাননি ডেভিড উইলি। শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচে ফেরেন ৫ বলে ১৫ রান করে। বোলারদের মধ্যে সফল শাহীন। দুই উইকেট নিয়েছেন তিনি। ১০ ওভারে দিয়েছেন ৭২ রান। মহম্মদ ওয়াসিম ১০ ওভারে ৭৪ রানে ২ উইকেট নেন।
পাকিস্তান (প্লেয়িং ইলেভেন): আবদুল্লাহ শফিক, ফখর জামান, বাবর আজম, মোহাম্মদ রিজওয়ান, সৌদ শাকিল, ইফতিখার আহমেদ, আগা সালমান, শাদাব খান, শাহীন আফ্রিদি, মোহাম্মদ ওয়াসিম জুনিয়র, হারিস রউফ
ইংল্যান্ড (প্লেয়িং ইলেভেন): জনি বেয়ারস্টো, ডেভিড মালান, জো রুট, বেন স্টোকস, হ্যারি ব্রুক, জস বাটলার (ডব্লিউ/সি), মঈন আলী, ক্রিস ওকস, ডেভিড উইলি, গাস অ্যাটকিনসন, আদিল রশিদ