বিশ্বকাপের আগেও মিডল অর্ডার নিয়ে চিন্তায় ছিল ভারতীয় দল। বিশ্বকাপের প্রথম ছয় ম্যাচ দাপটের সঙ্গে জেতার পরেও টিম ইন্ডিয়াকে চিন্তায় রাখছে চার নম্বরে ব্যাটিং। শ্রেয়াস আইয়ার সুযোগ পেলেও নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি। সেটা বুঝতে পেরেই রোহিত শর্মার দলের সদস্যের বিশেষ ক্লাস নিলেন বিশ্বকাপ জেতা ওপেনার গৌতম গম্ভীর।
বারবার শর্ট বলের সামনে আত্মসমর্পণ করছেন শ্রেয়াস। আর সেই সমস্যা কাটাতে তাঁকে পরামর্শ দিলেন গম্ভীর। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ম্যাচের পর মাঠেই ছিলেন দুই জন। শ্রেয়াসকে দেখতে পেয়ে নিজেই এগিয়ে যান গম্ভীর। একেবারে হাতে ধরে বুঝিয়ে দেন তাঁর কোথায় সমস্যা হচ্ছে। পরে গম্ভীর বলেন, 'নেটে কোনও শট অনুশীলন করার মানে এই নয় যে, মাঠে নেমে সেই শট খেলতেই হবে। শ্রেয়স যেন বাধ্য হয়েই খেলছে। ওকে দেখে মনে হচ্ছে দ্বিধায় থাকছে। শুধু শর্ট বলের জন্য অপেক্ষা করছে। তার দরকার নেই। কিছুটা এগিয়ে গিয়ে পুল করার চেষ্টা করতে পারে শ্রেয়াস। যে ভাবে শটটা খেললে বলের উপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারবে, সে ভাবেই খেলুক। বল বেশি উচ্চতায় মারার চেষ্টা করার দরকার নেই। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধেও দেখলাম সব বলে পুল করার চেষ্টা করছে। আন্তর্জাতিক স্তরে ভাল বোলারদের বিরুদ্ধে এই পরিকল্পনা ঠিক নয়।'
ছয় ম্যাচ খেলে এখনও অবধি ১৩৪ রান করেছেন শ্রেয়াস। তিন বার পুল শট খেলতে গিয়ে আউট হয়েছেন। এদিকে ফর্মে থাকলেও সুযোগ পাচ্ছেন না ইশান কিশান। তবে শ্রেয়াসের জায়গায় কি ইশানকে নেওয়া হতে পারে? গম্ভীর কিন্তু বলছেন শ্রেয়াসের উপর আস্থা রাখতে। গম্ভীরের মতে, 'শ্রেয়সের সমস্যা টেকনিকের নয়। মানসিকতার। সেটা খুব গুরুতরও নয়। তাই একটা ম্যাচে রান পেলেই চেনা ফর্মে দেখা যাবে কলকাতা নাইট রাইডার্স অধিনায়ককে। উল্লেখ্য, গম্ভীর নিজেও কেকেআরের প্রাক্তন অধিনায়ক। সেই হিসাবে নিজের উত্তরসূরীকে কিছুটা উপযাচক হয়েই পরামর্শ দিয়েছেন গম্ভীর।'
গম্ভীর আরও বলেন, ‘সেই বলই পুল করার চেষ্টা করা উচিত, যার উপর সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ থাকবে। মনে হচ্ছে ও একটা নির্দিষ্ট ভাবনার মধ্যে আটকে রয়েছে। শ্রেয়স হয়তো মনে করছে, সবাই ওকে শর্ট বল করবে। সে ভাবেই খেলতে চাইছে। ব্যাটিং নিয়ে হীনমন্যতার কোনও জায়গা নেই। এক জন সব রকম বলের বিরুদ্ধে শক্তিশালী হতে পারে না। দুর্বলতা ঢাকার জন্য অনুশীলন করা যেতেই পারে। কিন্তু গুরুত্ব দেওয়া উচিত নিজের শক্তির জায়গায়।’