আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে দারুণ ছন্দে রোহিত শর্মা। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে রান না পেলেও, দাপট দেখালেন আফগানদের বিরুদ্ধে। মাত্র ৩০ বলেই ৫০ করে ফেললেন টিম ইন্ডিয়ার ক্যাপ্টেন। ৬৩ বলে ১০০ করে গড়লেন দারুণ রেকর্ড। টপকে গেলেন সচিন তেন্ডুলকরকে। বিশ্বকাপে ৭টা সেঞ্চুরি হয়ে গেল তাঁর।
ভারতীয় হিসেবে প্রথমে বল করতে নেমে ২৭৩ রান খেয়ে যায় ভারত। দ্বিতীয় ম্যাচে বড্ড মার খেলেন মহম্মদ সিরাজ। ৯ ওভারে ৭৬ রান খেয়ে গিয়েছেন তিনি। উইকেটও পাননি। ফলে সম্মানজনক জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে আফগানিস্তান। জবাবে ব্যাট করতে নেমে যদিও কোনও আফগান বোলারকেই রেয়াত করেননি রোহিত। যদিও পরের দিকে বল করতে আসা রশিদ খান আসায় রানের গতি কিছুটা কমে যায়। পাটা উইকেটে রোহিতের শট গোলার মতো ছিটকে যাচ্ছিল বাউন্ডারির দিকে। প্রথমদিকে শান্ত থাকলেও, পরের দিকে চলতে থাকে ইশানের ব্যাটও।
ক্যাপ্টেন সেঞ্চুরির দিক থেকে টপকে গেলেন সচিন তেন্ডুলকরকে। বিশ্বকাপে সাতটা সেঞ্চুরি হয়ে গেল তাঁর। ছ'টি সেঞ্চুরি ছিল তাঁর। ১২টা চার আর চারটে ছক্কা মেরেছেন রোহিত। প্রথম পার্টনারশিপ ভাঙে ১৪০ রানের পর। তাও নেন রশিদ খান। রোহিতদের থামাতে তাঁকে আগে কেন ব্যবহার করা হল না সেটাই প্রশ্ন। রশিদ আসতেই রানের গতি কমে বটে, কিন্তু অন্যদিকে রান দিতে থাকেন পরের ওভারে বল করতে আসা আফগান বোলাররা।
ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলতে গিয়ে একবারই বিপদে পড়েছিলেন রোহিত। তবে বেঁচে যান বল দুই ফিল্ডারের মাঝে পড়ায়। এছাড়া যা মেরেছেন তাই প্রায় এসেছে ব্যাটের মাঝখান থেকেই। উইকেট না হারানোয় দ্রুত রান তুলতে সমস্যা হয়নি ভারতীয় দলের।
ভারত (প্লেয়িং ইলেভেন): রোহিত শর্মা (অধিনায়ক), ইশান কিশান, বিরাট কোহলি, শ্রেয়াস আইয়ার, কেএল রাহুল (উইকেটরক্ষক), হার্দিক পান্ডিয়া, রবীন্দ্র জাদেজা, শার্দুল ঠাকুর, কুলদীপ যাদব, জাসপ্রীত বুমরা, মহম্মদ সিরাজ।