বিশ্বকাপে প্রথম চমক দিয়েছে আফগানিস্তান। তারা হারিয়েছে ইংল্যান্ডকে। তারপর নেদারল্যান্ডস হারিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকাকে। ফলে এবারের বিশ্বকাপে ছোট বা বড় দল বলে কিছুই নেই। সমস্ত দলই তাদের দিনে হারিয়ে দিতে পারে যে কোনও দলকে। এমনটাই মনে করেন ভারতের তারকা ব্যাটার বিরাট কোহলি।
বিশ্বকাপের সম্প্রচারকারী চ্যানেলে বিরাট বলেন, ‘বিশ্বকাপের মঞ্চে বড় টিম বলে কিছু নেই। যখনই কেউ তথাকথিত বড় টিমের ওপর ফোকাস করে, অঘটন ঘটে।’ আগামী কাল ভারত পুনেতে খেলতে নামবে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে। ২০০৭ সালে বাংলাদেশের কাছে হেরেই গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নিয়েছিল ভারত। সেই টিমেও ছিলেন একাধিক তারকা। বিশ্ব ক্রিকেটের তারকা ব্যাটারদের বিরুদ্ধে অনবদ্য খেলেছিল বাংলাদেশ। বিশ্বকাপের অঘটনগুলির মধ্যে রয়েছে এই ম্যাচও। বিশ্বকাপে আরও একটা ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচ। সে কারণেই সতর্ক ভারতীয় শিবির।
কেউ ভেবেছিল বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডকে হারিয়ে দেবে আফগানিস্তান? ওয়ান ডে এবং টি-টোয়েন্টি দুই ফরম্যাটেই চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড। তাদের হারিয়ে বিরাট ধাক্কা দিয়েছিল আফগানিস্তান। এখানেই শেষ নয়। গত কাল দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়েছে নেদারল্যান্ডস। এ বারের বিশ্বকাপ ইতিমধ্যেই দুটো অঘটন দেখে ফেলেছে। হয়তো আরও অনেক বাকি রয়েছে! তথাকথিত বড় দলগুলিকে বিপর্যয়ের সামনে ফেলেছে। প্রতি বিশ্বকাপেই এমন কিছু ম্যাচ দেখা যায়। যা ক্রিকেট বিশ্বকে মনে করিয়ে দেয়, এটা বিশ্বকাপ। কিংবদন্তি বিরাট কোহলিও সেই কথাই মনে করিয়ে দিলেন।
এবারের বিশ্বকাপে দুরন্ত ফর্মে রয়েছেন ভারতীয় দলের ক্রিকেটাররা। সেখানেই শেষপর্যন্ত কী হয় সেটাই দেখার অপেক্ষায় রয়েছেন সকলে। যদিও ধারেভারে যে ভারতীয় দল যে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছেন তা বলাই বাহুল্য। বিশ্বকাপের মঞ্চে এখনও পর্যন্ত চারবার মুখোমুখি হয়েছে ভারত ও বাংলাদেশ। সেখানে তিনবারই জয় এসেছে ভারতীয় দলের পক্ষে। এমন পরিস্থিতিতে বিরাট কোহলিকে স্লেজিং করে তাঁকে নাকি রাগিয়ে দিতে চাননা বাংলাদেশের এই তারকা ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিম। জানিয়েছেন, 'বিশ্ব ক্রিকেটে এমন কয়েকজন ক্রিকেটার রয়েছেন, যারা স্লেজিংটাকে উপভোগ করেন এবং তাদের উদ্দেশ্যে করা স্লোজিংয়ের দ্বারা যেন আরও বেশী আত্মবিশ্বাসী হয়ে আরও বেশী আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠে। সেই কারমে আমি কখনোও তাঁকে স্লেজ করিনা, কারণ তাতে বিরাট কোহলি আরও বেশী তেতে ওঠেন। আমি সবসময়ই বোলারদের বলি যে যত দ্রুত সম্ভব তাঁকে সাজঘরে ফেরানোর চেষ্টা করতে।'