হোটেল থেকে ৩২ কিলমিটার দূরে স্টেডিয়াম। দুপুর ১২টায় হোটেল থেকে বেরিয়ে সন্ধ্যা ৭টায় হোটেলে ফিরেছেন সাকিব আল হাসান। প্রায় ৫-৬ ঘন্টা দলের সঙ্গে অনুশীলনে ছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। ভারতের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবারের ম্যাচে তাঁকে খেলতে দেখা যেতেই পারে।
নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ম্যাচে ব্যাট করতে করতেই উরুতে চোট পান সাকিব। তবে সেই চোট সারিয়ে মাঠে নামতে জেন মুখিয়ে রয়েছেন বাংলাদেশ ক্যাপ্টেন। ১৩ অক্টোবরের ম্যাচের পর মঙ্গলবার প্রথম অনুশীলনে নামে বাংলাদেশ। যদিও এর আগেও সাকিবকে প্রায় আধ ঘন্টা নেটে কাটাতে দেখা গিয়েছে। দৌড়েছেন কিছুটা সময়।
যদিও বুধবার অনুশীলন শুরুর সময় বাংলাদেশের অন্য ক্রিকেটাররা যখন ফুটবল নিয়ে অনুশীলন করছেন, তখন কিছুটা দূরে দাড়িয়েছিলেন সাকিব। তা দেখে শঙ্কিত হয়েছিলেন বাংলাদেশ ফ্যানরা। তবে কি আবার চোট বাড়ল? বাংলাদেশ দলের ফিজিওর সঙ্গে কিছুটা সময় স্ট্রেচিংও করেন সাকিব। নেট সেশন শুরু হওয়ার পর ড্রেসিংরুমে ঢোকেন তিনি। প্যাড, গ্লাভস হেলমেট পরে মাঠে ফিরে আসেন। এরপর প্রায় দেড় ঘন্টা অনুশীলন চালয়ে গেলেন তিনি। প্রথমে স্পিনারদের বল খেললেন তারপর পেসারদের বল। সবশেষে একটা ফাঁকা নেটে থ্রো ডাউন প্র্যাকটিস চলল। যদিও নেটে বল করতে দেখা যায়নি তাঁকে।
উরুর চোট যে খুব একটা গুরুতর নয়, তা বোঝা গেল। যদিও গ্রেড ওয়ান টিয়ার হয়েছে তাঁর। অর্থাৎ মাংস পেশি ছিঁড়ে গিয়েছে এ নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। এ ধরনের চোটে কোনো ক্রিকেটারের মোটামুটি সপ্তাহখানেক বা থাকার কথা। তবে সাকিবের চোটটা ঊরুর অর্থাৎ হ্যামস্ট্রিংয়ের উল্টো দিকে হওয়ায় তাঁকে ভারতের বিরুদ্ধে ম্যাচে পাওয়া যাবে বলেই মনে করা হচ্ছে। হ্যামস্ট্রিংয়ে এই চোট পেলে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে খেলা হত না. শুধু তাই নয়, ২৪ অক্টোবর দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে পরের ম্যাচেও অনিশ্চিত হয়ে পড়তেন। তবে তা না হওয়ায়, স্বস্তি বাংলাদেশ শিবিরে।