শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে নিউজিল্যান্ডের বড় ব্যবধানে জয়ের ফলে সমস্যা বাড়ল পাকিস্তানের। প্রথমে ব্যাট করে মাত্র ১৭১ রানেই সমস্ত উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় শ্রীলঙ্কা। সেখান থেকে বল করতে এসে ৪ উইকেট তুলে নিলেও জিততে পারেনি শ্রীলঙ্কা।
ডেভন কনওয়ে ও রচিন রবীন্দ্র দারুণ ইনিংস খেলেন শুরুতেই। সেই সময়ই জয়ের গন্ধ পেয়ে গিয়েছিল নিউজিল্যান্ড। যদিও এরপর দুই ব্যাটারই আউট হয়ে যাওয়ায় কিছুটা চাপ বেড়ে গিয়েছিল কিউয়িদের উপর। মাত্র ১৪ রান করে কেন উইলিয়ামসন আউট হয়ে যাওয়ায় সমস্যা আরও কিছুটা বাড়ে। যদিও ড্যারেল মিশেল ও গ্লেন ফিলিপস দলকে জয়ের পথে নিয়ে যান। ম্যাচের শেষে স্বস্তিতে কিউয়ি শিবির। কার্যত ছিটকে গেল পাকিস্তান ও আফগানিস্তান। ধরে নেওয়াই যায় ভারতের বিরুদ্ধে সেমিফাইনালে নামবেন কেন উইলিয়ামসনরা।
ভারতের বিরুদ্ধে ম্যাচের মতো এদিনও শুরু থেকেই আক্রমণ করলেও উইকেট হারাতে থাকে শ্রীলঙ্কা। কুশল পেরেরা ৫১ রানের ইনিংস খেলে আউট না হলে রান আরও বাড়তে পারত। তবে আবারও ভুল শট নির্বাচন সমস্যায় ফেলল শ্রীলঙ্কাকে। ওপেনার কুশল পেরেরা মাত্র ২৮ বলে ৫১ রান করেন, যার মধ্যে ছিল ৯টি চার ও দুটি ছক্কা। ৯১ বলে ৩৮ রান করে অপরাজিত থাকেন তিক্ষনা। যেখানে দিলশান মাদুশঙ্কা ৪৮ বলে দুটি চারের সাহায্যে ১৯ রান করেন। নিউজিল্যান্ডের হয়ে ট্রেন্ট বোল্ট সর্বোচ্চ তিনজন খেলোয়াড়কে আউট করেছেন। যেখানে লকি ফার্গুসন, রাচিন রবীন্দ্র ও মিচেল স্যান্টনার পেয়েছেন দুটি করে উইকেট।
নিউজিল্যান্ড দুর্দান্ত শুরু করে টানা চারটি ম্যাচ জিতেছিল। এর পর কিউই দল টানা চার ম্যাচ হেরেছে। এখন সেমিফাইনালে যেতে হলে এই ম্যাচে জিততে হবে নিউজিল্যান্ডকে। অন্যদিকে শ্রীলঙ্কা ইতিমধ্যেই সেমিফাইনালের দৌড় থেকে ছিটকে গিয়েছে।
নিউজিল্যান্ড প্লেয়িং 11: ডেভন কনওয়ে, রাচিন রবীন্দ্র, কেন উইলিয়ামসন (অধিনায়ক), ড্যারিল মিচেল, টম ল্যাথাম (উইকেটরক্ষক), গ্লেন ফিলিপস, মার্ক চ্যাপম্যান, মিচেল স্যান্টনার, লকি ফার্গুসন, টিম সাউদি, ট্রেন্ট বোল্ট।
শ্রীলঙ্কার প্লেয়িং 11: পথুম নিসাঙ্কা, কুসল পেরেরা, কুসল মেন্ডিস (উইকেটরক্ষক/অধিনায়ক), সাদিরা সামারাউইক্রমা, চরিথ আসালাঙ্কা, অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস, ধনঞ্জয় ডি সিলভা, মহিষ তিক্ষানা, দুষ্মন্ত চামেরা, চামিকা মদুশরত্নে ডি সিলভা।