ইডেনে পাকিস্তানের বিরুদ্ধেও ব্যাট হাতে ব্যর্থ বাংলাদেশ। টসে জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিলেও, শুরু থেকেই উইকেট হারাতে শুরু করে বাংলাদেশ। পাওয়ার প্লেতেই ৩ উইকেটে ৩৭ রান করে বাংলাদেশ। পাকিস্তানের সামনে মাত্র ২০৫ রানের লক্ষ্য রাখল বাংলাদেশ।
পরের দিকে মহমাদুল্লাহ ও শাকিব আল হাসান কিছুটা চেষ্টা করলেও তাঁরা আউট হতেই এক এক করে সমস্ত উইকেট হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ। ইডেনের উইকেট ব্যাটারদের জন্য দারুণ। সেই উইকেটেও বাংলাদেশ রান করতে না পারায় অবাক বিশেষজ্ঞরাও। লিটন দাস ছাড়া কোনও ব্যাটারই রান পাননি। লোয়ার অর্ডারে মহমাদুল্লাহ ৭০ বলে ৫৬ রান করলেও সেঞ্চুরি পাননি। ৪৬ তম ওভারেই শেষ হয় বাংলাদেশের ইনিংস।
পাকিস্তান দলে শাহিনের কাজ হল বল নতুন থাকা অবস্থায় কিছু উইকেট তুলে নেওয়া। এই কাজটাই এবারের বিশ্বকাপে সেভাবে করতে পারেননি বাঁ হাতি পেসার। ভারতের বিরুদ্ধে হারের পরে সেই সমস্যাটা আরও বাড়ে। মঙ্গলবারের ম্যাচে টসে জিতে শুরুতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। প্রথম ওভারের পঞ্চম বলেই উইকেট তুলে নেন শাহিন। প্রথম চার বল অফ স্ট্যাম্পের বাইরে বল করার পর, পঞ্চম বল ভেতরের দিকে ধুকিয়ে দেন। তনজম তামিম বুঝতেই পারেননি। ফলে পাও নড়েনি। ভেতরের দিকে বল ঢুকে আসবে তা বুঝতে সময় লাগায় ব্যাটও সময়মত চালাতে পারেননি। লেগ বিফোর হন তিনি। রিভিউ নিয়েও লাভ হয়নি।
এখানেই শেষ নয়, ০ রানে ১ উইকেট হারানোর পর, যখন ধীরে ধীরে খেলায় ফেরার চেষ্টা করছে বাংলাদেশ সেই সময়েই ফের আঘাত হানেন শাহীন। পরের ওভার বল করতে এসে চতুর্থ বলে আউট হন নাজমুল হোসেন শান্ত। শর্ট স্কোয়ার লেগে দারুণ ক্যাচ নেন উসামা মির। ১৩৫ কিলোমিটার গতির বল ফ্লিক করে বিপদে পড়েন শান্ত।
প্রথম ১০ ওভারে বাংলাদেশ ইনিংসে ধস
এবারের বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ব্যর্থতার অন্যতম কারণ টপ অর্ডারের ব্যর্থতা। এদিনও তার ব্যতিক্রম হল না। শাহীনের পর উইকেট তুলে নেন হ্যারিস রাউফও। ষষ্ঠ ওভারের শেষ বলে হ্যারিস রাউফ আউট করেন মুশফিকুর রহিমকে। পরপর কিছু বল উপরের দিকে করায় রহিম শেষ বলে ড্রাইভ করার চিন্তায় ছিলেন। কিন্তু শেষ বলের লেংথে পরিবর্তন করেন হ্যারিস। কিছুটা শর্ট বল করায় বুঝতে পারেননি বাংলাদেশি ব্যাটার। ব্যাটের কানায় লেগে বল যায় মহম্মদ রিজওয়ানের হাতে। ১০ ওভারের শেষে ৩ উইকেটে ৩৭ রান করে বাংলাদেশ।
এরপর কখনোই প্রভাব দেখাতে পারেনি বাংলাদেশ। কখনোই মনে হয়নি ৩০০-র কাছাকাছি রান নিয়ে যাবেন বাংলাদেশ ব্যাটাররা। স্পিনাররা মার খেলেও পেসাররা বল করতে এলেই উইকেট তুলে নিয়েছেন পাক বোলাররা। ৩ উইকেট নেন শাহিন। ৩ উইকেট তুলে বাংলাদেশের লোয়ার অর্ডার ভেঙে দিয়েছেন মহম্মদ ওয়াসিমও। ২ উইকেট হ্যারিস রাউফের। একটা করে উইকেট ইফতিকার ও উসামা মিরের।