বাংলাদেশের বিরুদ্ধে জিততে পারল না আফগানিস্তান। টসে জিতে রশিদ খানদের ব্যাট করতে পাঠান সাকিব আল হাসান। ৬ উইকেটে জয় পায় বাংলাদেশ।
শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ১০ ওভারে ৫০ রানে প্রথম উইকেট হারায় আফগানিস্তান। উইকেট এনে দেন সাকিব নিজেই। বাংলাদেশের দ্বিতীয় উইকেটও তুলে নেন সাকিবই। রহমত এই ম্যাচে ২৪ বলে ১৮ রান করেন। লিটন দাসের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান। মেহদি হাসান মিরাজের বলে তৌহিদ হৃদয়ের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন হসমতউল্লাহ শাহিদি। তিনি ৩৮ বলে ১৮ রান করেন। রহমানউল্লাহ গুরবাজ ৪৭ রান করে আউট হন। মুস্তাফিজুর রহমানের বলে তানজিদ হাসানের হাতে ক্যাচ দিয়ে তিনি প্যাভিলিয়নে ফিরে যান। ফের উইকেট নেন সাকিব।
১৫৬ রানে অলআউট হয়ে যায় আফগানিস্তান। শেষে ০ রানে আউট হন নবীন উল হক। জবাবে শুরুটাও খুব একটা ভাল হয়নি বাংলাদেশদের। ব্যর্থ হন লিটন দাস। তনজিদ হাসানও রান পাননি। তবে মেহেদি হাসান মিরাজ হাফ সেঞ্চুরি করেন। তবে ৭৩ বলে তিনি ৫৭ রান করে আউট হন। এরমধ্যে তিনি পাঁচটি বাউন্ডারি হাঁকান।
টাইগারদের ব্যাটিং নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। হাতে এত উইকেট থাকলেও কেন তারা আরও দ্রুত ম্যাচটা শেষ করলেন না, সেটা নিয়েই সকলে উদ্বিগ্ন। যত তাড়াতাড়ি তারা জিততে পারবে, নেট রানরেট ততই ভালো করতে পারবে। সেক্ষত্রে গ্রুপ পর্যায়ের পরবর্তী ম্যাচে বাংলাদেশ কিছুটা হলেও বেশি সুবিধা পাবে। সেটা না হওয়ায় পরে সমস্যা হতে পারে সাকিবদের।
আফগানিস্তানের প্রথম একাদশ
রহমানুল্লাহ গুরবাজ, ইব্রাহিম জারদান, রহমত শাহ, হাসমতউল্লাহ শহিদি (অধিনায়ক), মহম্মদ নবি, নাজিবুল্লাহ জারদান, আজমতউল্লাহ ওমরজাই, রশিদ খান, মুজিব উর রহমান, নবীন উল হক, ফজল হক ফারুকি।
বাংলাদেশের প্রথম একাদশ :
লিটন দাস, তানজিদ হাসান, নাজমূল হোসেন শান্ত, মেহদি হাসান মিরাজ, সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), মুশফিকুর রহিম (উইকেটকিপার), তৌহিদ হৃদয়, মেহমুদউল্লাহ, তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম, মুস্তাফিজুর রহমান।