টানা সাত ম্যাচ অপরাজিত টিম ইন্ডিয়া। শুধু অপরাজিত বললে বোধহয় ভুল হবে,বলা ভালো ২২ গজে শাসন চালাচ্ছে টিম ইন্ডিয়া। রবিবার ইডেন গার্ডেনসে তাদের সামনে দক্ষিণ আফ্রিকা। এই ম্যাচ খেলতে শুক্রবার বিকেলে কলকাতা পৌঁছে গেল রোহিত শর্মার দল। বিমানবন্দরের বাইরে আসতেই উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়লেন উৎসাহী জনতা। দলের সঙ্গে কলকাতায় এলেও, সোজা হোটেলে ঢোকেনি কোচ রাহুল দ্রাবিড়।
দল কলকাতায় নেমে হোটেলে ঢুকে গেলেও সোজা ইডেন চলে গেলেন টিম ইন্ডিয়ার হেড স্যার। সঙ্গে ছিলেন পরশ মামরে ও ব্যাটিং কোচ বিক্রম রাঠৌর। ইডেনে এসে উইকেট দেখে যান দ্রাবিড়। বৃহস্পতিবারই শ্রীলঙ্কাকে রেকর্ড ব্যবধানে হারিয়েছে টিম ইন্ডিয়া। তবুও দ্রাবিড়ের যেন ক্লান্তি নেই। ইডেনে দাঁড়িয়ে কিউরেটর সুজন মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে বেশ কিছুটা সময় কথা বলেন। তারপর বেরিয়ে আসেন। পরপর ম্যাচ থাকায় শনিবারই কেবল ইডেনে অনুশীলনের সুযোগ পাবে টিম ইন্ডিয়া। তাই আগে থেকে উইকেট দেখে দলের কম্বিনেশন অথবা রণকৌশল ঠিক করতেই হয়ত হোটেলে না গিয়ে ইডেনে রাহুল।
বিমানবন্দরে নামার পর, প্রচুর সমর্থক বিরাট কোহলির নামে জয়ধ্বনি দিতে থাকেন। পরপর ম্যাচ জিতে যে ছন্দ ধরে রেখেছে টিম ইন্ডিয়া, তাতে ফ্যানরা যে উৎসাহিত হবেন সেটাই স্বাভাবিক। পাশাপাশি উৎসবের মরশুমে ক্রিকেটের মহোৎসব। তার মধ্যে দুই তারকা ব্যাটারের স্বপ্নের ফর্ম, বোলারদের আগুন ঝরানো গতি ফ্যানরা দারুণ উপভোগ করেছেন। চোখের সামনে বিরাটকে সেঞ্চুরি করতে দেখার আশায় তাঁরা। ঘরের ছেলে মহম্মদ শামির আবারও পাঁচ উইকেট নেওয়ার মুহূর্ত দেখতে মুখিয়ে সমর্থকরা। আবারও ম্যাজিক দেখতে চায় কলকাতার জনগন।
টেম্বা বাভুমাদের বিরুদ্ধে ম্যাচের টিকিট নিয়ে চলছে নানা বিতর্ক। সিএবি-র সদস্যরাই টিকিট পাননি বলে অভিযোগ। সিএবি-র সামনে চলছে বিক্ষোভও। টিকিটের কালোবাজারির অভিযোগে আটকও করা হয়েছে বেশ কয়েকজনকে। সবমিলিয়ে, রবিবারের লড়াই নিয়ে ফুটছে কলকাতা।