India Vs Bangladesh 2nd T20: দ্বিতীয় ম্যাচেও ঘুরে দাঁড়াতে পারল না বাংলাদেশ। শুরুতে ভারতের ৩ ব্যাটারকে প্যাভিলিয়নে ফিরিয়ে লড়াই জমিয়ে দিয়েছিলেন টাইগাররা। কিন্তু রিঙ্কু সিং আর নবাগত নীতীশ রেড্ডি দলকে শুধু খাদের কিনারা থেকে তুললেন না, বরং রানের পাহাড়ে তুলে দিলেন। দুজনের মারমুখী ব্যাটিং এ দিন উপভোগ করেছেন কোটলার দর্শকরা। ভারতের বিরাট রান তাড়া করতে নেমে ন্যূনতম লড়াই দিতে পারেননি বাংলাদেশি ব্যাটাররা। একটা সময়ও মনে হয়নি, তাঁরা রান তাড়া করছেন। ফলে প্রত্যাশিত ফলই এসেছে। ৮৬ রানে বাংলাদেশকে হারিয়ে এক ম্যাচ বাকি থাকতেই সিরিজ পকেটে পুরে ফেলল টিম ইন্ডিয়া। টি২০-তে এটাই বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভারতের সবচেয়ে বড় জয়।
রান তাড়া করতে নেমে পরপর উইকেট হারায় বাংলাদেশ। কোনও ব্যাটারই রানের গতি বাড়াতে পারেননি। একা মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ নিজের শেষ টি২০ ম্যাচে চেষ্টা করেছেন। তবে প্রতি ওভাবে ১১ রান তাড়া করার জন্য যে আগ্রাসী ব্যাটিংয়ের দরকার ছিল তা করতে পারেননি। নিজের শেষ আন্তর্জাতিক টি২০ ম্যাচে মাহমুদুল্লাহ করলেন ৩৯ বলে ৪১ রান। সেই সঙ্গে বাংলাদেশ ক্রিকেটের ক্ষুদ্রতম সংস্করণ থেকে বিদায় নিলেন। তিনি ছাড়া বাকি ব্যাটারারা আসা-যাওয়া করেছেন।
এ দিন বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রথমে ব্যাট করে ২২২ রানের পাহাড় প্রমাণ লক্ষ্য দিয়েছে ভারত। নীতীশ কুমার রেড্ডি এবং রিংকু সিং-এর ব্যাটিং তাণ্ডবে দিশাহারা দেখিয়েছে বাংলাদেশের বোলিং অ্যাটাককে। নীতিশ কুমার রেড্ডি ৭৪ এবং রিংকু সিং ৫৩ রান করে ফিরেছেন।
এদিন শুরুতে অভিষেক শর্মা এবং সঞ্জু স্যামসন দুজনেই তাড়াতাড়ি আউট হয়ে যান। সঞ্জু স্যামসন আরও একবার সুযোগ পেয়েও হাতছাড়া করলেন। এর পরে তাকে স্থায়ীভাবে দল থেকে বাদ দেওয়ার দাবি উঠলে বলার কিছু থাকবে না। অন্যদিকে অভিষেক শর্মাও বেশ কয়েকটি দৃষ্টিনন্দন শর্ট খেললেও ইনিংস লম্বা করতে পারেননি। এদিন দ্রুত আউট হয়ে যান ক্যাপ্টেন সূর্যকুমার যাদবও।
শুরুতে টস জিতে ভারতকে ব্যাট করতে পাঠান বাংলাদেশ ক্যাপ্টেন নাজমুল হোসেন শান্ত। শুরুতে ৩৩ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ভারত প্রাথমিকভাবে বিপর্যয়ের মুখে পড়ে। যদিও এরপর আর বিপদ বাড়তে দেননি ২ ব্যাটার। নীতিশকুমার রেড্ডি এবং রিঙ্কু সিং। এরপর টিম রোলার চালিয়ে দেন বাংলাদেশি বোলারদের উপরে। যার পরে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি ভারতীয় দলকে। ১০ ওভারেই ১০০ রান তুলে ফেলে ভারত। শেষমেষ রিঙ্কু এবং নীতিশ আউট হলেও এগিয়ে নিয়ে যান হার্দিক পান্ডিয়া এবং রিয়ান পরাগ। ১৯ বলে ৩২ রান করেন হার্দিক পান্ডিয়া। অন্যদিকে মাত্র ৬ বল খেলে ১৫ রানের কার্যকরী ইনিংস খেলে যান রিয়ান।
বাংলাদেশকে এই রান তাড়া করে জিততে হলে নিজেদের ক্ষমতার বাইরে গিয়ে ব্যাট করতে হবে। এর আগে বাংলাদেশ যেমন শেষ দু'বার দিল্লিতে যখন খেলেছে, তারা জয় হাসিল করেই ফিরেছে। অন্যদিকে ভারত, বাংলাদেশের সঙ্গে দিল্লিতে খেলা শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে হেরে যায়। ওটাই একমাত্র বাংলাদেশের বিরুদ্ধে টি টোয়েন্টিতে একমাত্র হার ভারতের। এদিন ছবিটা কতটা বদলায় তার জন্য অপেক্ষা করতে হবে ঘন্টাখানেক।