ব্যাটে কোনওমতে মানরক্ষা হলেও বোলিংয়ে হল না। ৪৫ বল বাকি থাকতে ৮ উইকেটে দ্বিতীয় ODI ম্যাচ জিতে নিল দক্ষিণ আফ্রিকা।সিরিজে ১-১-এ সমতায় ফিরল দক্ষিণ আফ্রিকা।
ওপেনার সাই সুধারসন এবং অধিনায়ক কেএল রাহুলের হাফ সেঞ্চুরি। শুরুতে নেমেই ২১১ রান তোলে ইন্ডিয়া। প্রথম ইনিংসে বোলিংয়ে ঝড় তোলেন নান্দ্রে বার্গার। ৩টি বড় উইকেট তুলে নেন দক্ষিণ আফ্রিকার পেসার।
লিজাদ উইলিয়ামসের বলে সাই সৌধরসানকে আউট হন। বিউরান হেন্ড্রিকস সঞ্জু স্যামসনকে আউট করেন। আর তার ফলে ইন্ডিয়া পরপর আরও দু'টি উইকেট হারায়।
ম্যাচের প্রথম বলে ওপেনার রুতুরাজ গায়কওয়াদকে আউট করেন নান্দ্রে। সাই সুদর্শন এবং তিলক ভার্মার পার্টনারশিপে তারপর ইন্ডিয়ার ব্যাটিং কিছুটা ধাতস্থ হয়।
দ্বিতীয় ওয়ানডে-তে টস জিতে প্রথমে বল করার সিদ্ধান্ত নেন দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক এইডেন মার্করাম। টিম ইন্ডিয়ার অধিনায়ক কেএল রাহুলও প্রথমে ব্যাট করতে আগ্রহী ছিলেন।
উল্লেখ্য, এদিন শ্রেয়াস আইয়ারের জায়গায় নেমে ODI-তে অভিষেক হচ্ছে রিংকু সিং-এর।
তবে ব্যাটিংয়ে নেমে চমক দেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। টনি ডি জর্জি এবং রিজা হেনড্রিকসের পার্টনারশিপ যেন উইকেটে একেবারে সেট হয়ে যায়। প্রথম ২৭ ওভার পর্যন্ত একটিও উইকেট ফেলতে পারেনি ইন্ডিয়া। ১২৯ রান তোলে দক্ষিণ আফ্রিকার ওপেনিং পার্টনারশিপ।
আরশদীপ সিং শেষমেশ জগদ্দল পাথর সরাতে সক্ষম হন। ৫ নম্বর ডেলিভারিতে ফাইন লেগে মুকেশ কুমারের হাতে ক্যাচ তুলে দেন রিজা হেন্ড্রিক্স(৫২)। সেই সময়ে জেতার জন্য ২২ ওভারে আর ৮২ রান বাকি।
দ্বিতীয় ডেলিভারিতে বাউন্ডারি মেরে খাতা খোলেন ডুসেন। টনি ডে জর্জির দুর্ধর্ষ সেঞ্চুরীতে ভর করে এগিয়ে চলল দক্ষিণ আফ্রিকার গাড়ি।
এরপরেও ফের দুর্বল হয়ে পড়ে ইন্ডিয়ার বোলিং। ২০০ রান পর্যন্ত আর একটিও উইকেট পড়েনি। টনি ডি জর্জি-র পেল্লায় ছক্কা দিয়ে ম্যাচ শেষ হয়। ৪৫ বল বাকি থাকতে ৮ উইকেটে ম্যাচ ঝুলিতে পুরে নেয় সাউথ আফ্রিকা। আপাতত শেষ ম্যাচেই সিরিজের ফল নির্ধারণ। সেদিকেই তাকিয়ে ক্রিকেটপ্রেমীরা।