Wriddhiman Saha Retirement: মাস দুয়েক আগে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের হাত ধরে ত্রিপুরা থেকে বাংলায় ফিরেছেন প্রাক্তন জাতীয় ক্রিকেটার ঋদ্ধিমান সাহা। তবে এটাই তাঁর শেষ মরশুম। এরপর হয়তো ব্যাট-প্যাড-গ্লাভস তুলে রাখবেন তিনি। শিলিগুড়ির (Siliguri) বাড়িতে ছুটি কাটাতে এসেছেন। তার মাঝেই নিজের ছোটবেলার ক্লাব অগ্রগামী সংঘে (Agragami) হাজির হয়েছিলেন। সেখানেই তিনি নিজের ভবিষ্যত পরিকল্পনার কথা জানান। পাশাপাশি শিলিগুড়ির ক্রিকেট থেকে তাঁর কাছে তেমন কোনও প্রস্তাব না দেওয়াতেও আক্ষেপ ঝরে পড়ল তার কথায়।
বছর দুয়ের আগে বাংলার এক ক্রিকেট কর্তা তাঁর দায়বদ্ধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলায় তিনি অভিমানে বাংলা ছেড়েছিলেন। ২ বছর ত্রিপুরায় খেলেছেন। তবে শেষ মরশুমে আগের মতো ধারাবাহিক পারফরম্যান্স মেলেনি। অন্যদিকে ২০২৩ এর আইপিএলে গুজরাট টাইটান্সের হয়ে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স থাকলেও এবারের আইপিএল ভাল যায়নি। অন্যদিকে বয়সও চল্লিশের কোটায় পৌঁছেছে। ফলে এক সময় থামতেই হবে। এই দেওয়াল লিখন পড়ে ফেলেছেন তিনি। ঋদ্ধিও বাস্তব মেনে নিয়েই নিজের ছোটবেলার ক্লাব অগ্রগামী সংঘে দাঁড়িয়ে বললেন, ‘ক্রিকেটার হিসেবে এটাই শেষ মরশুম হতে চলেছে আমার। মাঝে একবার ভেবেই ফেলেছিলাম ব্যাট-প্যাড তুলে রাখব। কিন্তু এরপর সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের অনুরোধেই বাংলায় ফিরেছি। কিন্তু আর নয়, মরশুম শেষ হলেই ক্রিকেট থেকে সরে দাঁড়াব।’
দেশের হয়ে তিনটি শতরান ও হাফ ডজন অর্ধশতরান ছাড়াও তাঁর উইকেট কিপিংয়ের গুণমুগ্ধ গোটা বিশ্বজুড়ে। তাঁর উড়ন্ত ক্যাচের জন্য নাম হয়ে গিয়েছিল ফ্লাইং সাহা। ঋদ্ধিমান সাহার ১৭ বছরের বর্ণময় কেরিয়ারে শুরুতে তেন্ডুলকর, দ্রাবিড়, লক্ষ্মণ, জাহিরদের পেয়েছেন। পরে বিরাট,,গম্ভীর, রোহিত, অশ্বিন, জাদেজা, সামিদের পেয়েছেন। বিরাট অধিনায়ক থাকাকালীন তাঁকে টেস্টে লাগাতার খেলিয়েছেন। তাছাড়া তাঁর জীবনের শেষ টেস্টেও ম্যাচ বাঁচানো অর্ধশতরান রয়েছে।
অবসর জীবনে কী করবেন জানতে চাইলে তিনি জানান, ক্রিকেট নিয়েই থাকবেন। তবে শিলিগুড়ি নিয়ে কী করবেন এখন ঠিক করেননি। তিনি বলেন, "এখানে বাড়ি যখন তখন অবশ্যই ফিরব। কিন্তু শিলিগুড়ির ক্রিকেট কি আমাকে চায়? কখনও কোনও প্রস্তাব তো পাইনি। তাছাড়া ক্রিকেট স্টেডিয়াম দূরের কথা নিয়মিত ৪০-৪৫ ওভারের ম্যাচ করা যায় এমন মাঠও তো নেই। ৪০-৪৫ ওভারের ম্যাচ বছরে অন্তত ১৫টি না খেলার সুযোগ পেলে ক্রিকেটাররা নিজেদের স্কিলের পরিচয় কীভাবে দেবে? আর আমিই বা কোথায় আমার অভিজ্ঞতার প্রতিফলন ঘটাতে পারব?"
গম্ভীরের জাতীয় দলে কোচ হিসেবে সাফল্য নিয়েও তিনি সমান আশাবাদী। শুনিয়েছেন, ‘নাইটদের মেন্টর হয়ে গম্ভীর বেশকিছু সাহসী পদক্ষেপ করেছিলেন। যা ওদের ট্রফি জয়ে সহায়ক হয়েছিল। তাছাড়া গৌতমভাই বরাবরই স্পষ্টবক্তা। যা খেলোয়াড়দের বাস্তবটা বুঝতে সাহায্য করবে। তাই ভারতীয় দল ওর কোচিংয়ে সাফল্য পেলে অবাক হব না আমি।’