scorecardresearch
 

Sourav Ganguly Birthday: স্টিভ ওয়াকে সে বার মাঠে কেন অপেক্ষা করিয়েছিলেন? যে 'দাদাগিরি'গুলি ভোলার নয়

Sourav Ganguly: সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে ভারতীয় ক্রিকেট দল নতুন উচ্চতায় পৌঁছয়। দলকে এমন একটা অবস্থানে নিয়ে গিয়েছিলেন যে, যে ভারতীয় দলের কাছে বিদেশের মাটিতে সিরিজ জেতা স্বপ্নের মতো ছিল, তা বাস্তব হয়ে যায়। বীরেন্দ্র সেহওয়াগ, হরভজন সিং, যুবরাজ সিং-এর মতো তারকা ক্রিকেটারদের কেরিয়ার গঠনে 'দাদা' গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন।

Advertisement
সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের জন্মদিন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের জন্মদিন
হাইলাইটস
  • ফ্লিনটফকে কড়া জবাব আজও ক্রিকেট বিশ্বে স্মরণীয়
  • জার্সি ঘোরানোর ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছিলেন
  • অস্ট্রেলিয়া দলের দর্প চূর্ণ

Sourav Ganguly Birthday: লর্ডসে টেস্ট অভিষেক। সেই লর্ডস, যাকে বলা হয় 'ক্রিকেটের মক্কা'। প্রথম দুই টেস্ট ম্যাচে সেঞ্চুরি। আন্তর্জাতিক টেস্ট কেরিয়ারের শুরুটাই ছিল মহারাজকীয়। তারপর অধিনায়কত্ব পেয়ে দেশকে জেতানো অভ্যাসে পরিণত করে ফেলেন। হ্যাঁ, কথা হচ্ছে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে নিয়ে। 'প্রিন্স অফ কলকাতা', 'লর্ড অফ দ্য অফ সাইড', 'বেঙ্গল টাইগার', 'মহারাজ', সৌরভ নামের আগে বিশেষণ একাধিক। ভারতীয় ভক্তদের প্রিয় 'দাদা' আজ (৮ জুলাই) ৫২ বছর বয়সে পা দিলেন।

সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে ভারতীয় ক্রিকেট দল নতুন উচ্চতায় পৌঁছয়। দলকে এমন একটা অবস্থানে নিয়ে গিয়েছিলেন যে, যে ভারতীয় দলের কাছে বিদেশের মাটিতে সিরিজ জেতা স্বপ্নের মতো ছিল, তা বাস্তব হয়ে যায়। বীরেন্দ্র সেহওয়াগ, হরভজন সিং, যুবরাজ সিং-এর মতো তারকা ক্রিকেটারদের কেরিয়ার গঠনে 'দাদা' গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। এমনকী ভারতের আরেক অন্যতম সেরা ক্যাপ্টেন মহেন্দ্র সিং ধোনিরও ভারতীয় দলে অভিষেক হয়েছিল সৌরভের অধিনায়কত্বেই।

 ফ্লিনটফকে কড়া জবাব আজও ক্রিকেট বিশ্বে স্মরণীয়

আরও পড়ুন

সৌরভের 'দাদাগিরি'-এর গল্প এখনও ভক্তরা ভোলেননি। যখন ইংলিশ ক্রিকেটার অ্যান্ড্রু ফ্লিনটফের শার্ট নেড়ে জবাব দিয়েছিলেন সেই মুহূর্তটি কে ভুলতে পারে! ১৩ জুলাই, ২০০২, ইংল্যান্ডের ঐতিহাসিক লর্ডস গ্রাউন্ডে মহম্মদ কাইফ এবং যুবরাজ সিংয়ের জাদুকরী ইনিংসে, ভারত ফাইনাল ম্যাচে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে ন্যাটওয়েস্ট সিরিজ জেতে। সৌরভ টি-শার্ট খুলে লর্ডস বারান্দায় ঘোরানোর সেই দৃশ্য ইতিহাসের পাতায় লিপিবদ্ধ। ওই বছর ফেব্রুয়ারিতে (৩ ফেব্রুয়ারি ২০০২), মুমবাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে ভারতের বিপক্ষে জয়ের পর ফ্লিনটফ তাঁর শার্ট খুলে মাঠে দৌড়ে আসেন। এমন পরিস্থিতিতে  'দাদা' তাঁকে যোগ্য জবাব দিয়েছিলেন, যা ফ্লিনটফ কখনও ভুলতে পারবেন না। সঠিক প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য লর্ডসের চেয়ে ভাল জায়গা আর হতে পারে না।

Advertisement
২০০২ সালে লর্ডসে ন্যাটওয়েস্ট সিরিজ জয়
২০০২ সালে লর্ডসে ন্যাটওয়েস্ট সিরিজ জয়

জার্সি ঘোরানোর ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছিলেন

যদিও পরে সেই ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। ২০১৮ সালে প্রকাশিত তাঁর বই, 'আ সেঞ্চুরি ইজ নট এনাফ'-এ সৌরভ লিখেছেন, 'ফাইনাল ম্যাচে জয়ের জন্য দলটি খুব উত্তেজিত ছিল এবং জাহির খানের উইনিং শটের পরে আমি নিজেকে থামাতে পারিনি।' জয়ের পর শার্ট খুলে উদযাপন করা ঠিক হয়নি বলে স্বীকার করেন সৌরভ। বিজয় উদযাপনের আরও অনেক উপায় ছিল।

অস্ট্রেলিয়া দলের দর্প চূর্ণ

২০০১ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে সৌরভ স্টিভ ওয়াকে মাঠে অপেক্ষা করিয়েছিলেন। 'দিনের তারা' দেখিয়েছিলেন। কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে অনুষ্ঠিত ঐতিহাসিক টেস্ট ম্যাচের প্রথম দিনে অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক স্টিভ ওয়া টসের জন্য নির্ধারিত সময়ে পৌঁছলেও সৌরভের জন্য অপেক্ষা করতে থাকেন। দাদা একটু দেরি করেচিলেন, কারণ তিনি তাঁর ব্লেজারটি খুঁজে পাচ্ছিলেন না। সৌরভ টসে দেরিতে এলে স্টিভ ওয়া খুব রেগে যান।

ফলোঅন খেলেও সেই টেস্ট ম্যাচ জিতেছিল ভারতীয় দল। স্মরণীয় জয়ে অস্ট্রেলিয়া দলের জয়ের রথ থামিয়ে দেয় ভারত। ওই ম্যাচের আগে অস্ট্রেলিয়া টানা ১৬টি টেস্ট ম্যাচ জিতেছিল। বিশেষ ব্যাপার হল, চেন্নাইয়ে সিরিজের তৃতীয় ম্যাচেও টস করতে একটু দেরিতে আসেন সৌরভ। এবারও স্টিভ ওয়ার রাগ স্পষ্ট।

স্টিভ ওয়া ও সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়
স্টিভ ওয়া ও সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়

বাঁ হাতে ব্যাট করতেন, ডান হাতে বল

বাঁ হাতে ব্যাট এবং ডান হাতে বোলিং। ভারতের হয়ে ১১৩টি টেস্ট এবং ৩১১টি ওয়ানডে খেলেছেন। টেস্ট ম্যাচে 42.17 গড়ে 7212 রান করেছেন। যার মধ্যে ১৬টি সেঞ্চুরি এবং ৩৫টি হাফ সেঞ্চুরি রয়েছে। যেখানে একদিনের ক্রিকেটে 41.02 গড়ে 11363 রান রয়েছে। ওয়ানডেতে ২২টি সেঞ্চুরি এবং ৭২টি হাফ সেঞ্চুরি করেছেন। সৌরভ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১৩২টি উইকেট নিয়েছিলেন।

যদি দেখা যায়, সৌরভ গাঙ্গুলি ৪৯টি টেস্ট এবং ১৪৭টি ওডিআই ম্যাচে ভারতের অধিনায়কত্ব করেছেন। গাঙ্গুলির অধিনায়কত্বেই টিম ইন্ডিয়া ২০০৩ সালে বিশ্বকাপের ফাইনালে পৌঁছেছিল। একই সময়ে, ভারতীয় দল ২০০২ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে যৌথভাবে বিজয়ী হয়েছিল। ২০১৯-২২ সালে তিনি ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের (BCCI) সভাপতিও ছিলেন।

Advertisement