শ্রীলঙ্কা বনাম বাংলাদেশ ম্যাচ ঘিরে এমনিতে খুব একটা উত্তেজনা ছিল না। তবে উত্তাপ বাড়িয়ে দিয়েছিল অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউজের টাইমড আউট বিতর্ক। ক্রিকেট জীবনে নানা বিতর্কে বারেবারে জড়িয়ে পড়েছেন শাকিব আল হাসান। তবে টাইমড আউট নিয়ে বিতর্ক একেবারে অন্য মাত্রা যোগ করেছে। সময়মতো ক্রিজে না আসায় একটাও বল না খেলে আউট হতে হয়েছে শ্রীলঙ্কার অভিজ্ঞ ব্যাটারকে। এবার এই ঘটনা নিয়ে মুখ খুললেন সৌরভ
টাইমড আউট নিয়ে কী বললেন সৌরভ?
এক চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সৌরভ বলেন, 'হ্যাঁ, ওর (শাকিবের) এমনটা করা একেবারেই উচিত হয়নি। টাইমড আউটের আবেদন করার কোনও দরকারই ছিল না। হতে পারে, ওই মুহূর্তের জন্য ওটা দরকার ছিল। ওর মাথায় সেইসময় কী চলছিল, সেটা আমি বলতে পারব না।' কোনও ব্যাটার আউট হলেই পরবর্তী ব্যাটারকে সর্বাধিক ২ মিনিটের মধ্যে ক্রিজে এসে খেলা শুরু করতে হবে। আর সেটা যদি সে করতে না পারে, তাহলে বিপক্ষ দলের অধিনায়ক টাইমড আউটের জন্য আবেদন করতে পারেন। অর্থাৎ ওই ব্যাটার নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে গেলেও, খেলা শুরু করতে পারেননি। সেকারণে তাঁকে আউট হয়ে ফিরে যেতে হবে।
তবে ম্যাথিউসের ক্ষেত্রে বিষয়টা কিছুটা আলাদা। হেলমেটের স্ট্র্যাপ খুলে যাওয়ায়, সতীর্থদের কাছে বিকল্প হেলমেট চেয়েছিলেন তিনি। তার মধ্যেই তাঁকে আউট বলে জানিয়ে দেন আম্পায়াররা। ক্ষোভে ফুঁসতে থাকেন ম্যাথিউস। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথমবার এমন আউট হলেন কোনও ব্যাটার।
সৌরভও টাইমড আউটের শিকার হতে পারতেন
০০৭ সালে ভারতের দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের সময়। তৃতীয় টেস্টে কেপটাউনে প্রোটিয়াদের বিরুদ্ধে ব্যাট করার সময় দুই ভারতীয় ওপেনার বীরন্দ্র সেহওয়াগ ও ওয়াসিম জাফর দ্রুত সাজঘরে ফেরেন। পরের ব্যাটসম্যান ছিলেন সচিন তেন্ডুলকর। কিন্তু তিনি ফিল্ডিংয়ের সময় মাঠের বাইরে থাকার কারণে সকাল ১০টা ৪৮ মিনিটের আগে ব্যাট করতে পারতেন না। তারপরের ব্যাটার ছিলেন ভিভিএস লক্ষ্মণ। কিন্তু সেই সময় তিনি বাথরুমে স্নান করছিলেন। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে ব্যাটে নামানোর। সেই সময় সৌরভ ট্র্যাকশুট পরে ছিলেন। ফলে ব্যাটিংয়ের জন্য তৈরি হলেও মাঠে নামতে নামতে ৩ মিনিটের বেশি সময় চলে যায়। প্রায় ৬ মিনিট পর মাঠে নামেন সৌরভ। তবে আম্পায়ার কেন সৌরভকে আউট দেননি। আসলে সেই সময় দক্ষিণ আফ্রিার অধিনায়ক গ্রেম স্মিথ পরিস্থিতি বুঝতে পেরে আউটের আবেদন জানাননি। স্পোর্টসম্যান স্পিরিটের পরিচয় দেন প্রোটিয়া অধিনায়ক। বেঁচে যান সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়।