ICC Cricket World Cup: আজ (১৯ নভেম্বর) ভারত এবং বিশ্বের ক্রিকেটপ্রেমীদের জন্য একটি বিশেষ দিন। আজ আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০২৩ এর ফাইনাল ম্যাচ। অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে ভারতের 'বদলা'র লড়াই। আমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে হবে এই ম্যাচ।
টিভিতে ক্রিকেট ম্যাচ চলাকালীন ব্যাটসম্যান, বোলার, ফিল্ডার ইত্যাদি সহ পুরো স্টেডিয়ামের ছবিই দেখানো হয়। বিশ্বকাপ বা অন্যান্য ক্রিকেট ম্যাচের সময় কী কী প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয় তা কখনও ভেবে দেখেছেন?
আজ ক্রিকেট বিশ্বকাপে ব্যবহৃত প্রযুক্তি সম্পর্কে জানতে পারবেন। এই সব প্রযুক্তি ব্যবহারের কারণেই টিভি, মোবাইল, ল্যাপটপ বা যেকোনও ডিজিটাল স্ক্রিনে ম্যাচ দেখার অভিজ্ঞতা আরও দুর্দান্ত পর্যায়ে পৌঁছে যায়। আসুন বিস্তারিতভাবে এই প্রযুক্তিগুলি সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
ক্রিকেট বিশ্বকাপে ব্যবহৃত প্রযুক্তি
>> স্মার্ট বল প্রযুক্তি: ২০২৩ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপের সময় থেকে স্মার্ট বল প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে। এটি বলের গতি এবং সুইং সম্পর্কে তথ্য দেয়। এই ধরণের স্মার্ট বল প্রথম ২০১৯-২০২০ সাল নাগাদ চালু করা হয়েছিল।
>> স্পিডগানও ব্যবহার করা হয়: স্মার্ট বল প্রযুক্তি ছাড়াও খেলায় স্পিডগান ব্যবহার করা হয়। এই ডিভাইসের মাধ্যমে বোলারের নিক্ষিপ্ত বলের রিয়েল টাইম গতি জানা যায়। স্ক্রিনের স্কোর বারে সেই গতি কত, সেটা দেখা যায়।
>> এআর এবং ভিআর প্রযুক্তি: ভার্চুয়াল রিয়েলিটি (ভিআর) এবং অগমেন্টেড রিয়েলিটি (এআর)-র মাধ্যমে দর্শকদের ভিউয়িংয়ের অভিজ্ঞতা আরও সুন্দর করে তোলা হয়। এটি বোলার বা ব্যাটসম্যানদের নিজেদের খেলার কৌশল নিয়ে পর্যালোচনা এবং বিশ্লেষণ করতেও সহায়তা করে।
>> স্নিকো বা স্নিকোমিটার: এটি এমন এক ধরনের সিস্টেম, যা মাইক্রোফোন থেকে আসা শব্দ রেকর্ড করে। এটি ব্যাট এবং বলের মধ্যে সংস্পর্শের যে শব্দ হয়, সেটি ক্যাপচার করে। এটি থার্ড আম্পায়ারকে সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করে।
>> স্পাইডার ক্যাম বা বার্ডস আই ভিউ: স্পাইডার ক্যামেরা বা বার্ডস আই ভিউ ক্যামেরা টিভি, মোবাইল, ট্যাব এবং ল্যাপটপ ইত্যাদিতে বিভিন্ন অ্যাঙ্গেল থেকে ম্যাচ দেখানোর জন্য ব্যবহার করা হয়।
>> LED স্টাম্প এবং বেইলস: বল বা উইকেট কিপার স্পর্শ করার সঙ্গে সঙ্গে LED স্টাম্প এবং বেইলের আলো জ্বলে ওঠে। এই LED স্টাম্প এবং বেইলের দাম USD 40,000 থেকে 50,000 এর মধ্যে, যা ভারতীয় মুদ্রায় রূপান্তরিত প্রায় ৩২-৪১ লক্ষ টাকা।