Virat Kohli 76 T20 World Cup: তাঁকে সবাই কিং বলে ডাকেন। তাঁকে বলা হয় বিগ ম্যাচ প্লেয়ার। গোটা টুর্নামেন্টে বলার মত রান নেই। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ৩১ রান ছাড়া তাকে রীতিমতো ফ্লপ বলা যায়। ওপেনিং পজিশনে তিনি বেমানান কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল। গোটা দেশ এবং বিশ্বের তাবড় ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা যখন তার সমালোচনায় মেতে উঠেছিলেন, তখন একমাত্র নির্বিকার ছিলেন ক্যাপ্টেন রোহিত শর্মা। তিনি তাঁর দলের পহেলা নম্বর ব্যাটার কে ব্যাক করে গিয়েছেন বরাবর। তিনি যে রত্ন চেনা জহুরি, তা প্রমাণ দিলেন কোহলি।
ফাইনালের একটি সাংবাদিক বৈঠকে তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন, কোহলির ফর্ম নিয়ে তিনি চিন্তিত নন। হয়তো ফাইনালেই সময় ফিরবেন বিরাট। তিনি কতটা সঠিক চেনেন তা প্রমাণ বোধহয় ফাইনালের মঞ্চ বেছে নিয়েছিলেন কিং কোহলি।
ফাইনালের আগে পর্যন্ত গোটা টুর্নামেন্টে সার্বিক রান সাকুল্যে ৬৬। সেই অবস্থায় ফাইনাল খেলতে নেমে ৭৬ রানের দুর্ধর্ষ ইনিংস খেললেন শুধু নয় পাওয়ার প্লেতে তিন উইকেট হারার পর দলকে ভরসা দিলেন দীর্ঘদিন পর। কোহলিচিত ৭৬ রানে ভারত পৌঁছল ১৭৬ রানে তাকে যোগ্য সঙ্গত করলেন অক্ষর প্যাটেল। তাঁকে যে অলরাউন্ডার কোটাতে নেওয়া হয়েছে। তা তিনি প্রমাণ দিতে ফাইনালের মঞ্চ বেছে নিলেন করলেন ৩১ বলে ৪৭ রান।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে বিরাট ঝড় (Virat Kohli)। প্রথম ওভারেই তিনটি চার মারলেন বিরাট কোহলি। তবে দ্বিতীয় ওভারেই ভারতকে ধাক্কা দেন মহারাজ। প্যাভিলিয়নে পাঠান দুরন্ত ফর্মে থাকা রোহিত শর্মাকে। কেশব মহারাজের বলে ক্যাচ আউট হন ভারতের অধিনায়ক। মাত্র ৯ রান করেন তিনি।
ম্যাচের দ্বিতীয় ওভাবে ঋষভ পন্থ-কেও প্যাভিলিয়নে পাঠান কেশব মহারাজ। শূন্য রানে আউট হন তিনি। নেমেই রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে আউট পন্থ। এরপর ম্যাচের হাল ধরেন বিরাট। চতুর্থ ওভারে দুর্দান্ত শটে কেশব মহারাজের বল বাউন্ডারি পাঠিয়ে দেন কোহলি।
পঞ্চম ওভারে ভারতকে বড় ধাক্কা দেন দক্ষিণ আফ্রিকার তারকা বোলার রাবাডা। সূর্যকুমার যাদবকে ৩ রানে আউট করে দেন তিনি। ফাইনালে কঠিন পরিস্থিতিতে দলের ইনিংসের দায়িত্ব নিতে ব্যর্থ হন টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বিশ্বের অন্যতম সেরা ব্যাটার সূর্য।