East Bengal VS Chennaiyin fc: প্রথম দলে মাত্র দুই বিদেশি। চেন্নাইয়েন এফসির বিরুদ্ধে সেই ম্যাচ জিততেও বেশ কষ্ট করতে হল ইস্টবেঙ্গলকে। এই ম্যাচ থেকে লাল-হলুদ তিন পয়েন্ট না পেলেও বলার কিছুই ছিল না। বারেবারে আক্রমণ শানিয়েছে চেন্নাই। গোলের সুযোগ অনেক বেশি তৈরি করেছে তারাই। তবে ভাগ্যের জন্য আর ভাল স্ট্রাইকার না থাকায় সমতা ফেরাতে পারেনি তারা।
ইস্টবেঙ্গলের হয়ে জয়সুচক গোল করেন নন্দাকুমার। ৬৫ মিনিটে ভিক্টরের থেকে নন্দকুমার বাঁ দিকের পোস্টে বল পান। তিনি লক্ষ্যে শট মারেন। বলটি চেন্নাইয়ের ফুটবলারের পায়ে লেগে জালে জড়ায়। ১-০ এগিয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল। চোট থাকায় এদিন প্যান্টিচকে খেলানোর ঝুঁকি নেননি কুয়াদ্রাত। এর আগেও গোলের সুযোগ এসেছিল। মিস করেন ক্লেইটন সিলভা। ব্যাক হিলে নন্দকুমার পাস বাড়ান ক্লেটনকে। তবে ইস্টবেঙ্গলের অধিনায়ক অনেক বাইরে দিয়ে শট মারেন। গোল করতে ব্যর্থ হন তিনি।
প্রথমার্ধে ২৯ মিনিটে এগিয়ে যেতে পারত চেন্নাই। অঙ্কিত মুখোপাধ্যায় গোলের সামনে আনমার্কড রহিম আলিকে পাস বাড়ান। রহিম আবার বাঁ-দিকে ফারুখকে বল বাড়ান। কিন্তু ফারুখের শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। বড় সুযোগ নষ্ট করে চেন্নাই। চেন্নাই কর্নার থেকে বল বাড়ালে গিল সেই বল ধরেও ছেড়ে দেন। গিলের ভুলের সুযোগ অবশ্য কাজে লাগাতে পারেনি চেন্নাই। ভাগ্যক্রমে ইস্টবেঙ্গল বলটি ক্লিয়ার করে দেয়।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ইস্টবেঙ্গল তিনটি পরিবর্তন করে। নিশু কুমারের বদলে নামেন মন্দার রাও দেশাই। ফেলিসিও ব্রাউনের জায়গায় নামেন বিষ্ণু। রাকিপের পরিবর্তে নামেন প্যান্টিচ। ঘরের মাঠে চেন্নাইয়িনের বিরুদ্ধে তিন পয়েন্ট পেতেই হত ইস্টবেঙ্গলকে। তা হলেই সেরা ছয়ে মধ্যে থাকার স্বপ্ন বাঁচতে পারত লাল-হলুদ। আর সেটাই করে লিগে এখনও ভেসে রইল লাল-হলুদ।