Durand Cup Final Controversy: প্রায় ১৯ বছর পর ডুরান্ড কাপের ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল কলকাতা ময়দানের দুই যুযুধান ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান। এই বছর প্রথম ডার্বিতে ডুরান্ডের প্রথম ম্যাচে ইস্টবেঙ্গল জিতেছিল। তাই ফাইনালের ম্যাচটা ছিল মোহনবাগানের বদলার লড়াই। আর সেই লড়াইয়ে জবাব দিয়ে ১-০ গোলে চির-প্রতিদ্বন্দ্বীকে হারিয়ে কাপ ঘরে তুলল মোহনবাগান। খেলার ৭০ মিনিটের মাথায় জয়সূচক গোল করে দলের সম্মান রক্ষা করেন অস্ট্রেলিয়ান ফরোয়ার্ড দিমিত্রি পেত্রাতোস। কিন্তু হেরেও ইস্টবেঙ্গলের অভিযোগ কমছে না। আগের ম্যাচে সেমিফাইনাল নিয়ে তাঁরা অভিযোগ করেছিলেন রেফারি মোহনবাগানের পক্ষপাতিত্ব করেছেন। ফাইনালের পর আবার নতুন অভিযোগ করলেন ইস্টবেঙ্গল কোচ। এবার তাঁদের অভিযোগ মোহনবাগান নিয়ম বহির্ভুতভাবে বেশি খেলোয়াড় রেজিস্ট্রেশন করিয়েছে।
কী অভিযোগ কুয়াদ্রাতের ?
ফের মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের বিরুদ্ধে বেশি ফুটবলার নথিভুক্ত করার অভিযোগ তুললেন লাল-হলুদ কোচ কুয়াদ্রাত। তিনি অভিযোগ করেন, “২৩টি দল একটি নিয়ম মেনে খেলে আরেকটি দল অন্য নিয়মে খেলে। মোহনবাগান ৩৪ জন ফুটবলারকে নথিভুক্ত করে খেলিয়েছে।” অভিযোগ কুয়াদ্রাথের। হারের দুঃখের মধ্যে সান্ত্বনা হিসেবে রানার্সের পদককে আঁকড়ে ধরতে চাইলেন। ভারতীয় ফুটবলে কাজ করতে এসে তার ক্যাবিনেটে রানার্স পদক যেমন আছে, বিজয়ীর পদকও রয়েছে বলে মনে করিয়ে দিয়েছেন। ডুরান্ডে রানার্স হওয়াকে ইতিবাচক দিক হিসেবে তুলে ধরে আইএসএলের জন্য তৈরি হওয়ার কথা বলছেন।
কী বলছেন ফেরান্দো?
এদিকে ইস্টবেঙ্গল ক্লাব কোচের বেশি ফুটবলার নথিভুক্ত করার অভিযোগ পাত্তা দিতে নারাজ মোহনবাগান কোচ জুয়ান ফেরান্দো। তবে ফেরান্দোর মতো, অনিরুদ্ধকে লাল কার্ড দেখানোর ক্ষেত্রে রেফারি একটু কড়া মনোভাবই নিয়েছেন। তাঁর কথায়, “মানছি অনিরুদ্ধ দ্বিতীয়ার্ধে একটু ক্লান্ত হয়ে গিয়েছিল। তাই সিভেরিয়ো ও ভাবে বলটা পাওয়ায় নিজেকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেনি। কিন্তু রেফারি সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে এক বার ভেবে দেখলে পারতেন।”
এর আগে শেষবার ২০০৪ সালে লাল-হলুদ ও সবুজ-মেরুন মুখোমুখি হয়েছিল। সেই ম্যাচে চন্দন দাসের জোড়া গোলে জিতেছিল ইস্টবেঙ্গল। তাই ইতিহাস রক্ষা করার লড়াই ছিল আজ। দুই দলই এখনও পর্যন্ত ১৬ বার করে ডুরান্ড জিতেছে। আর আজ পেত্রাতোসেরই দৌলতে, ১৭টি জয়ের শিরোপা ঝুলিতে পুরে নিল মোহনবাগান।