ম্যাচের শেষ মুহূর্তে দারুণ দুই গোল। আর তার জেরেই এগিয়ে থেকেও ১ পয়েন্ট নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হল ইস্টবেঙ্গলকে। ৮৯ মিনিটে দীপ সাহার অসাধারণ ফ্রিকিক থেকে করা গোল ম্যাচের পার্থক্য গড়ে দিয়েছিল। তবে ইনজুরি টাইমে সৌরভ সেনের গোলে সমতা ফেরায় বিএসএস।
৮৯ মিনিটে পেনাল্টি বক্সের সামনে ফ্রিকিক পায় লাল-হলুদ। ডানদিক থেকে গ্রাউন্ডার থেকে গোল তুলে নেন দীপ। ঝাঁপিয়েও বল ধরতে পারেননি বিএসএস গোলরক্ষক মৃন্ময় তাঁতি। গোটা ম্যাচ দারুণ খেললেও তার দাম পেলেন না বিএসএস গোলকিপার। তবে ম্যাচের শেষ মুহূর্তে একা গোলরক্ষককে সামনে পেয়ে সমতা ফেরান পরিবর্ত হিসেবে নামা সৌরভ। শুরুটা একেবারে খারাপ করেনি বেহালার ক্লাব। ১৬ মিনিটে তুহিন দাস লাল কার্ড দেখায়, সমস্যা আরও বাড়ে। যদিও ম্যাচে শুরু থেকেই বারবার আক্রমণে উঠে এসেছে বেহালার ক্লাব। ১৩ মিনিটেই সুযোগ এসে গিয়েছিল তাদের কাছে। গোলরক্ষক মহম্মদ নিশাদ কোনওরকমে সেভ করে দলকে বাঁচান।
তবে তুহিনের লাল কার্ড দেখা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। গোলমুখী আক্রমণ ছিল। পেছন থেকে ট্রিপ করেন তুহিন। আইএসএল-এ খেলা এই ফুটবলার কী করে এমন ভুল করলেন তা হয়ত তিনিই ভালো বলতে পারবেন।
কার্লেস কুয়াদ্রাতের সামনে প্রথমার্ধের প্রথম দিকে একটু অগোছালো লাগছিল ইস্টবেঙ্গলকে। ২২ মিনিটে আবারও সুযোগ এসে গিয়েছিল বিএসএস-এর কাছে। শুভঙ্কর দাসের ইনস্টেপে নেওয়া শট অল্পের জন্য বাইরে চলে যায়। ২৯ মিনিটে সুযোগ এসে গিয়েছিল ইস্টবেঙ্গলের সামনেও। ডানদিক থেকে ভেসে আসা কর্নারে দারুণ হেড করেন কুশ ছেত্রী। তবে গোল হয়নি। এরপর সার্থক গোলুই-এর শট সেভ করেন মৃন্ময়। দ্বিতীয়ার্ধের ৫৪ মিনিটে ম্যাচের সহজতম সুযোগ নষ্ট করেন শ্যামল বেসরা। ডান দিক থেকে উঠে আসা সার্থক দারুণ লে অফ করেন। শট করলেও গোল করতে পারেননি শ্যামল। ৫৮ মিনিটে সন্দীপ ঘোষও সুযোগ পেয়ে গিয়েছিলেন। তবে গোল হয়নি। ৮০ মিনিটেও শ্যামল একটি সহজ সুযোগ নষ্ট করেন। এরপর ৮৯ মিনিটে এগিয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল।