১০ মার্চেই অনুষ্ঠিত হবে কলকাতা ডার্বি। আশঙ্কা করা হয়েছিল, তৃণমূলের ব্রিগেড সমাবেশের জন্য নিরাপত্তার কারণে ডার্বির তারিখ পিছিয়ে জেতে পারে। তবে তা হওয়ার সম্ভাবনা নেই। নির্দিষ্ট দিনেই অনুষ্ঠিত হচ্ছে ডার্বি। কবে থেকে টিকিট দেওয়া হবে তা এখনও চূড়ান্ত না হলেও, জানা যাচ্ছে, ৮ অথবা ৯ তারিখ থেকে টিকিট পাওয়া যেতে পারে।
মোহনবাগান সুপার জায়েন্টের দায়িত্ব ছিল আগের ডার্বি আয়োজনের। এবার ডার্বি আয়োজন করবে ইস্টবেঙ্গল। তবে ১০ মার্চ ডার্বি হওয়ার আগে আরও কঠিন ম্যাচ খেলতে হবে। আগামিকাল ওড়িশার বিরুদ্ধে খেলতে হবে তাদের। সেই ম্যাচে জিততেই হবে কার্লেস কুয়াদ্রাতের দলকে। ইস্টবেঙ্গলকে এই মরসুমে সুপার সিক্সে জিততে গেলে সমস্ত ম্যাচ জিততে হবে। ফলে ওড়িশা ম্যাচও জিততে হবে। ডার্বি ম্যাচেও জিততে হবে। এবারের প্রথম ডার্বি ম্যাচে ২-২ গোলে ড্র হয়েছে। এবার যারা জিতবে তারাই লাভবান হবে। কারণ, মোহনবাগানও একই জায়গায়। তাদেরও লিগ শিল্ড জিততে হলে সব ম্যাচ জিততে হবে। কারণ এখনও শীর্ষে রয়েছে ওড়িশা।
লগ্নিকারী সংস্থা সুপার কাপ জয়ের জন্য অগেই পঁচিশ লক্ষ টাকা পুরস্কার দিয়েছে। মঙ্গলবার ইস্টবেঙ্গল ক্লাব কুয়াদ্রাতের ছেলেদের হাতে সুপার কাপের সাফল্যের জন্য পনেরো লক্ষ টাকার চেক তুলে দিল। ক্লাবের সহসভাপতি এম এল লোহিয়া এই ঘোষনা করেন এবং সচিব কল্যান মজুমদার,সহসভাপতি রাহুল টোডি,ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস,মহানাগরিক ফিরহাদ হাকিমকে সঙ্গে নিয়ে কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত,অধিনায়ক ক্লেটন সিলভার হাতে চেকটি তুলেও দেন।
আগামী মরসুমে এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে ক্লাব। তার পরিকল্পনা তিনি সাজাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন। এই পরিকল্পনা রূপায়নে ক্লাব এবং লগ্নিকারী সংস্থার সাহায্য পাচ্ছেন। সূত্রের খবর নতুন এক বিদেলিকে ইতিমধ্যে ইস্টবেঙ্গল সই করিয়েছে। যার নাম নতুন মরসুমের শুরুতে প্রকাশ করা হবে।