শীর্ষস্থান ধরে রাখাই এখন চ্যালেঞ্জ মোহনবাগান সুপার জায়েন্টের (Mohun Bagan Super Giant) কাছে। কেরালা ব্লাস্টার্সের (Kerala Blasters) বিরুদ্ধে শনিবার ঘরের মাঠে নামছে সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। তবে সেই ম্যাচেও ফিরতে পারছেন না গ্রেগ স্টুয়ার্ট (Greg Stewart)। এটাই মেরিনার্সদের কাছে কিছুটা চিন্তার কারণ। তবে মোহনবাগান যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী, জয়ের ধারা বজায় রেখেই শীর্ষস্থান ধরে রাখতে পারবেন দিমিত্রি পেত্রাতোসরা (Dimitri Petratos)।
গ্রেগ স্টুয়ার্ট চোট পাওয়ার পর এখনও পুরোপুরি ফিট হননি। বুধবার পুরোদমে অনুশীলন করেছিলেন। বৃহস্পতিবার অনুশীলনেই নামেননি। মাঠের ধারে দাঁড়িয়ে সতীর্থদের কেরালার বিবরুদ্ধে অনিশ্চিত স্টুয়ার্ট অনুশীলন দেখেন। কেরল ম্যাচে তাঁর মাঠে নামার সম্ভাবনা যে ক্ষীণ, তা বলাই বাহুল্য। তবে চুটিয়ে অনুশীলন করছেন আলবার্তো। পরিস্থিতি যা, তাতে আলবার্তো এবং শুভাশিস দু'জনেরই হয়তো প্রথম একাদশে ফিরবেন। দুই উইংয়ে থাকবেন লিস্টন কোলাসো ও মনবীর সিং। মাঝমাঠে আপুইয়ার পাশে সাহালের খেলার সম্ভাবনা বেশি। উপরে জেমি ম্যাকলারেনকে রেখে কিছুটা নীচ থেকে আক্রমণ তৈরি করবেন দিমিত্রি পেত্রাতোস।
কেরালা ব্লাস্টার্স একেবারেই ভাল জায়গায় নেই। ১০ নম্বরে থাকা প্রীতম কোটালরা ১১ ম্যাচ খেলে পেয়েছেন ১১ পয়েন্ট। শেষ পাঁচ ম্যাচে একটা মাত্র জয়। আর পাঁচ ম্যাচেই হারতে হয়েছে ইয়েলো আর্মিকে। দলের সমর্থকরাও বেজায় চটে। কলকাতায় এসে সেই খারাপ ফর্ম থেকে বেরোতে মরিয়া কেরল দল। তবে ভারতের 'সেরা' দলের বিরুদ্ধে তিন পয়েন্ট তুলে নেওয়া যে সহজ হবে না তা ভালভাবেই জানেন কেরলের ফুটবলাররা।
প্রতিপক্ষকে একেবারেই হালকা নিতে নারাজ মোহনবাগান কোচ। মলিনা পরিষ্কার বলছেন, ‘এমন পরিস্থিতিতে প্লেয়ারদের মধ্যে আত্মতুষ্টির সম্ভাবনা থাকেই। আমি এ সবে প্রশ্রয় দিই না। ম্যাচটা সহজ হবে না। সেরা পারফরম্যাান্সেই জিততে হবে। আত্মতুষ্ট হওয়ার কোনও সুযোগই নেই আমাদের কাছে।’
১০ ম্যাচে ২৩ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে মোহনবাগান। ১১ ম্যাচে ২৩ পয়েন্ট নিয়ে দুই নম্বরে সুনীল ছেত্রির দল। ১২ ম্যাচ খেলে ফেললেও ইস্টবেঙ্গলকে হারিয়ে ৩ নম্বরে উঠে এসেছে ওড়িশা এফসিও। ১২ ম্যাচে সের্জিও লোবেরার দলের পয়েন্ট ১৯।