শীর্ষে ওঠার লড়াইয়ে এগিয়ে গেল মোহনবাগান সুপার জায়েন্ট। অ্যাওয়ে ম্যাচে জয় পেল সবুজ-মেরুন। নর্থইস্ট ইউনাইটেড এফসিকে ২-০ গোলে হারাল মোহনবাগান। প্রথম থেকেই আক্রমণে ঝড় তুলেছিল সবুজ-মেরুন। তবে প্রথম ৪৫ মিনিটে গোল আসেনি। তবে শেষ ৪৫ মিনিটে ঝড় তোলে সবুজ-মেরুন।
লিস্টন কোলাসো কিন্তু এই ম্যাচের রং বদলে দিতে পারতেন। ১০ মিনিটের মাথায় তাঁর কাছে এসেছিল এক সুবর্ণ সুযোগ। নর্থ-ইস্টের রক্ষণ টপকে তিনি বিপক্ষ তেকাঠির সামনে এগিয়ে এসেছিলেন। বক্সের একেবারে ধার থেকে তিনি নজরকাড়া শটও মারেন। কিন্তু, দূর্ভাগ্য যে বলটা গোলপোস্টে লেগে ফিরে এল। প্রতিহত হয়ে আসা বলে আবারও শট নিতে যান ম্যাকলারেন। কিন্তু, তিনি অফসাইডের কবলে পড়ে যান। প্রথমার্ধের একেবারে শেষবেলায় সুযোগ এসেছিল দিমি পেত্রাতোসের সামনে। বক্সের ঠিক বাইরে থেকেই জোরাল শট মারেন তিনি। কিন্তু, নর্থ-ইস্টের গোলকিপার গুরমিত অসাধারণ একটি সেভ করে বলটা ঠেলে বের করে দেন।
৬৫ মিনিটে গোল করে মোহনবাগানকে এগিয়ে দেন মনবীর সিং। নর্থইস্ট বক্সের বাইরে ডান দিকে বল পেয়েছিলেন তিনি। বল নিয়ে বিপক্ষের ডিফেন্ডারকে এগিয়ে বাঁ দিকে এগোতে থাকেন। গোলের মাঝামাঝি গিয়ে বাঁ পায়ের বাঁকানো শট নেন। নর্থইস্ট গোলকিপার গুরমিত সিং-এর কিছু করার ছিল না।
৭১ মিনিটে ব্যবধান বাড়ান লিস্টন। বাঁ প্রান্তে বল পাওয়ার পর শট মারার জন্য ভেতরে অনেকটা ঢুকে এলেন। নিজেকে ঠিক জায়গায় নিয়ে এসে ডান পায়ে যে নীচু শট মারলেন, তা কার্যত দাঁড়িয়ে দেখতে হল গুরমিতকে।
আইএসএলে টানা আটটি ম্যাচে গোল করার পর ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে গত ম্যাচে ছন্দ হারিয়েছিলেন আলাদিন আজারাই। মোহনবাগান তাঁকে গোটা ম্যাচে বোতলবন্দি করে রাখল। ইস্টবেঙ্গল ম্যাচে তবু কিছু সুযোগ পেয়েছিলেন। মোহনবাগান কোনও সুযোগই দিল না মরক্কোর ফুটবলারকে। কার্ড সমস্যায় রক্ষণে ছিলেন না আলবের্তো রদ্রিগেস। সেই জায়গায় মাঝে দীপেন্দু বিশ্বাসকে খেলালেন মোলিনা। নিজের দায়িত্ব ভাল ভাবেই পালন করলেন বঙ্গসন্তান। দু’-একটি খুচরো ভুল ছাড়া নর্থইস্টের আক্রমণকে রুখে দিলেন বার বার।