বরাবরই শিলং লাজং শক্ত গাঁট ইস্টবেঙ্গলের জন্য। আই লিগের সময় থেকেই বারেবারে লাল-হলুদকে বেগ দিয়েছে পাহাড়ের এই ক্লাব। ডুরান্ড কাপের কোয়ার্টার ফাইনালেও তার ব্যতিক্রম হল না। ম্যাচের ৯ মিনিটেই গোল পেয়ে যায় শিলং-এর ক্লাব। সেই গোল শোধ করতে লেগে যায় ৭৯ মিনিট। নন্দাকুমারের গোলে সমতা ফেরায় লাল-হলুদ। তবে শেষ মুহূর্তে ফিগোর গোলে ২-১ ব্যবধানে হারল ইস্টবেঙ্গল। কোয়ার্টার ফাইনাল থেকেই বিদায় নিল গতবারের রানার্সরা।
প্রেসিং ফুটবল আর পাহাড়ি ছেলেদের গতিতে ভর করে ডানা মেলতে থাকে লাজং। দুই উইং-এর ব্যবহার যেমন আছে, তেমনভাবেই মাঝ বরাবরও ইস্টবেঙ্গলকে নাস্তানাবুদ করে দেয় তারা। মাঝমাঠে ব্লকাররা ঠিকভাবে কাজ করতে না পারায় চাপ বেড়েছে লাল-হলুদ ডিফেন্সে।
প্রথমর্ধেই দ্বিতীয় গোল পেয়ে যেতে পারত শিলং। ক্রসবার ইস্টবেঙ্গলকে সে যাত্রায় বাঁচিয়ে দেয়। সমতা ফেরানোর একাধিক সুযোগ ম্যাচর ৩০ মিনিটের মধ্যেই পেয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। তবে ডেভিড লালরানসাঙ্গা ঠিকভাবে হেড করতে পারলে সমতা তখনই ফেরাতে পারত কার্লেস কুয়াদ্রাতের ছেলেরা। লাল-হলুদের ডিফেন্স নিয়ে প্রশ্ন উঠবেই। সেটপিস মুভমেন্ট হলেই গোল খাওয়ার উপক্রম দেখা গিয়েছে এদিনের খেলায়।
দ্বিতীয়ার্ধে চারটে পরিবর্তন করেন ইস্টবেঙ্গল কোচ। তাতেই খোলে গোলের দরজা। পিভি বিষ্ণু আর নাওরেম মহেশ সিং নামতেই চেনা ছন্দে ফেরে ইস্টবেঙ্গল। পাসিং ফুটবলে চাপ বাড়তে থাকে শিলং-এর ক্লাবের উপর। বাঁ দিক থেকে ক্রস করেন বিষ্ণু। ডান পায়ের ভলিতে বল জালে জড়ান নন্দা।
তবে তাতে শেষরক্ষা হয়নি। ক্লেইটনকে নামাতে হিজাজিকে তুলে নিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। উঠে গিয়েছিলেন জোথানপুইয়াও। ৮৪ মিনিটে সেই সুযোগ কাজে লাগিয়েই গোল করে যান ফিগো। পরিবর্ত হিসেবে নামা এই ফুটবলারের গোল সেমি ফাইনালে তুলে দিল শিলংকে।