প্যারিস অলিম্পিকে (Paris Olympics 2024) দারুণ ছন্দে ভারতের শাটলাররা। প্রথমে পিভি সিন্ধু (PV Vishnu) ও তারপর লক্ষ্য সেন (Laksha Sen) প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে জায়গারে ফেললেন। গ্রুপের তিনটি ম্যাচই জিতে নিলেন শেষ আটে সিন্ধু। ৩৪ মিনিটেই ম্যাচ জিতে নেন সিন্ধু। সিন্ধু ম্যাচে প্রথম গেমে এস্তোনিয়ার ক্রিস্টিয়ান কুবাকে প্রায় দাঁড়াতেই দেননি সিন্ধু। ২১-৫ পয়েন্টে প্রথম গেল জিতে নেন ভারতীয় শাটলার। এরপর দ্বিতীয় গেম জেতেন ২১-১০ ব্যবধানে। লক্ষ্য সেনও জয় পান স্ট্রেট সেটে।
দুইবারের অলিম্পিক পদক বিজয়ী পিভি সিন্ধু প্যারিস অলিম্পিকের মহিলাদের সিঙ্গলসে এস্তোনিয়ার ক্রিস্টিন কুরাকে দাঁড়াতেই দেননি। রিও অলিম্পিকে রৌপ্য পদক এবং টোকিওতে ব্রোঞ্জ পদক জয়ী সিন্ধু এই একতরফা ম্যাচে জিতেছেন। রাউন্ড অফ ১৬-এ সিন্ধুর সামনে বড় চ্যালেঞ্জ। টোকিও অলিম্পিকের ব্রোঞ্জ মেডেল ম্যাচে তাঁর প্রতিপক্ষ চীনের হে বিংজিয়াও-এর মুখোমুখি হবেন। সেই ম্যাচে সিন্ধুর কাছে ২১-১৩, ২১-১৫ ব্যবধানে পরাজিত হন বিংজিয়াও। ২০২২ সালের এশিয়ান গেমসে সিন্ধুর বিরুদ্ধে ম্যাচ জেতেন। হেড টু হেডে, সিন্ধুর বিরুদ্ধে বিংজিয়াওয়ের রেকর্ড ১১-৯। সিন্ধু যদি বিংজিয়াওকে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছান, তাহলে তার সামনে থাকবেন চীনা খেলোয়াড় চেন ইউফেই।
ভারতীয় সুপারস্টার অলিম্পিক এবং বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে কোনও চীনা শাটলারের কাছে কোনও ম্যাচ হারেননি, তবে ইউফেই দুর্দান্ত ফর্মে রয়েছেন। বর্তমান অলিম্পিক চ্যাম্পিয়ন এই মাসের শুরুতে ইন্দোনেশিয়া ওপেন জিতেছিল, ফাইনালে বিশ্বের এক নম্বর অ্যান সেউংকে হারিয়ে। সিন্ধু এবং ইউফেই এখনও পর্যন্ত একে অপরের বিরুদ্ধে ৬টি করে ম্যাচ জিতেছেন। সেমিফাইনালে সিন্ধুর মুখোমুখি হতে পারেন স্প্যানিশ কিহ্বদন্তি ক্যারোলিনা মারিন, যিনি বরাবরই তার সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী। মারিনের বিরুদ্ধে সিন্ধুর রেকর্ড ভালো নয়, যেখানে সে ৫-১২ পিছিয়ে। ২০১৬ সালের অলিম্পিকের ফাইনালে সিন্ধুকে হারিয়েছিলেন এই একই মারিন।
অন্যদিকে লক্ষ্য সেনও বিশ্বের ৩ নম্বর খেলোয়াড়কে হারালেন। প্রথম গেমে ক্রিস্টি জোনাথনের বিরুদ্ধে অনেকটাই পিছিয়ে পড়েছিলেন লক্ষ্য। তবে সেখান থেকে লড়াইয়ে ফেরত আসেন ভারতীয় শাটলার। ২১-১৮ ব্যবধানে প্রথম গেম জেতার পরে দ্বিতীয় গেমে ক্রিস্টি জোনাথনের বিপক্ষে ২১-১২ ব্যবধানে জয় পান।