ম্যাচ শুরু হওয়ার পর থেকেই দারুণ ডিফেন্স করতেথাকেন ভিনেশ ফোগাট। কিউবান রেসলার গুজম্যান লোপেজ হারান ১ পয়েন্ট। তবে দুই তারকাই দারুণ ছন্দে থাকায় পয়েন্ট আসছিল না। ফলে একই কারণে আক্রমণ না করায় ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে স্কোর করতে হত ভিনেশকে। সেই সুযোগেই একেবারে পাঁচ পয়েন্ট তুলে নেন ভারতের রেসলার। প্রথম ভারতীয় মহিলা কুস্তিগির হিসাবে অলিম্পিকের ফাইনালে ভিনেশ, নিশ্চিত করলেন রুপো।
এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি ভারতের রেসলারকে। কিউবার রেসলারকে কোনও সুযোগই দেননি ভিনেশ। দারুণ ডিফেন্সে নিজের ফাইনালে ওঠার রাস্তা পাকা করে ফেলেন তিনি। চারবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন তথা টোকিও অলিম্পিকে সোনাজয়ী জাপানের ইউই সুসাকি (Yui Susaki) র বিরুদ্ধে প্রি কোয়ার্টার ফাইনালে ২-০ জিতে চমক দিয়েছিলেন ভিনেশ। ভিনেশ এমন একজনকে শুরুতে হারান যিনি এর আগে কখনও কোনও আন্তর্জাতিক কুস্তি ম্যাচে হারেননি। টানা ৮০টা ম্যাচে অপরাজিত থাকার রেকর্ড গড়া জাপানের সুসাকি-কে ধরাশায়ী করেন ভিনেশ। বিজেপি-র প্রাক্তন সাংসদ ব্রিজভূষণ শরণ সিংয়ের যৌন হেনস্থা কাণ্ডে প্রতিবাদে গর্জে ওঠা ভিনেশের একটা সময় প্যারিস অলিম্পিকে খেলা নিয়ে বড় রকমের অনিশ্চয়তা ছিল। কিন্তু চোট সারিয়ে দারুণভাবে ফিরে এসে প্যারিসের টিকিট কেটেছিলেন ভিনেশ।
পদক জেতা নিশ্চিত করতে ইউক্রেনের ওকাসা লিভাচ-কে কোয়ার্টার ফাইনালে হারাতে হত ভিনেশকে। সেই কাজটাও সহজেই করে ফেলেন ভারতীয় রেসলার। এরপর কিউবার রেসলার গুজম্যান লোপেজকে হারিয়ে ফাইনালে নিজের জায়গা পাকা করেন ভিনেশ।
অনেকেই ভেবেছিলেন অপরাজেয় জাপানের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন কুস্তিগীরের বিরুদ্ধে শুরুতেই বিদায় নেবেন ভিনেশ। কিন্তু খেলা শুরু হতেই কুস্তির ম্যাটে টোকিওর সোনাজয়ীকে ধরাশায়ী করলেন হরিয়ানার কন্যা।