ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর গ্রহণ করেছেন। আপাতত তিনি মন দিয়েছেন ডেয়ারি ফার্ম এবং অর্গ্যানিক কৃষিকাজের উপরে মনেনিবেশ করেছেন। রাঁচির ধুর্বা এলাকায় প্রায় ৫৫ একর জমিতে এই কৃষিকাজ করছেন তিনি। এরমধ্যে ডেয়ারি ফার্মের পাশাপাশি অর্গ্যানিক কৃষিকাজও করছেন তিনি। ধোনির ফার্ম হাউসে আপাতত মরশুমি ফসল উৎপাদন হচ্ছে। (রাঁচি থেকে মৃত্যুঞ্জয় কুমারের রিপোর্ট)
আপাতত ধোনির ফার্ম হাউসে টমেট্যো, ফুলকপি, বাঁধাকপি, ব্রোকোলি চাষ হচ্ছে। আপাতত টমেট্যো উৎপাদন হচ্ছে। ধোনির ফার্ম হাউসে প্রতিদিন ৮০ কিলো টমেটো তোলা হচ্ছে। বাজারে এই টমেট্যোর চাহিদাও প্রচুর। সকালের মধ্যেই সব টমেট্যো শেষ হয়ে যাচ্ছে।
আসলে এই টমেট্যো উৎপাদন একেবারে জৈবিক নিয়মেই করা হচ্ছে। সামনের এক সপ্তাহের মধ্যেই ধোনির ফার্ম হাউসে উৎপন্ন হওয়া কপির স্বাদও রাঁচির লোকজন নিতে পারবেন। আপাতত ধোনির ফার্ম হাউসে উৎপন্ন হওয়া টমেটো কেজি প্রতি ৪০ টাকা দরে বাজারে বিক্রি হচ্ছে।
পাশাপাশি ধোনির ফার্ম হাউসে প্রতিদিন গড়ে ৩০০ লিটার দুধও উৎপন্ন হচ্ছে। এই দুধ সোজা বাজারে বিক্রি হচ্ছে। ৫৫ টাকা কিলো দরে এই দুধ মাত্র কয়েকঘণ্টার মধ্যেই শেষ হয়ে যাচ্ছে।
ধোনির এই ফার্ম হাউসের আপাতত দেখাশোনা করছেন ডক্টর বিশ্বরঞ্জন। তিনি আজতককে বললেন, ধোনির গোশালায় ভারতের শাহিওয়াল গোরু এবং ফ্রান্সের ফ্রিজ়িয়ন গোরু রয়েছে। গোশালায় আপাতত ৭০টি গোরু রয়েছে। এগুলো প্রত্যেকটাই ফ্রান্স থেকে নিয়ে আসা হয়েছে। বিশ্বরঞ্জনের পাশাপাশি ধোনির ফার্ম হাউসের দেখাশোনা শিবনন্দন এবং তাঁর স্ত্রী সুমন যাদব করেন। এদের হাতেই গোটা সবজির ব্যবসা রয়েছে।
শিবনন্দন বললেন, ধোনির অ্যাকাউন্টে এই ফার্মিং থেকে ইতিমধ্যেই কয়েক লাখ টাকা জমা পড়েছে। ধোনি নিজেও ফার্ম হাউসের এই উৎপাদিত সবজি এবং ডেয়ারি ফার্ম দেখে যারপরনাই খুশি হয়েছেন।
আজতককে শিবনন্দন আরও বললেন, "ধোনি যখনই রাঁচিতে থাকেন, দু'তিনদিন ছাড়াই এই ফার্ম হাউস দেখতে আসেন। যেভাবে অর্গ্যানিক উপায়ে এই সবজির উৎপাদন হচ্ছে, তা দেখে ধোনি যারপরনাই খুশি হয়েছেন। সবজি এবং দুধ বিক্রি করে যা উপার্জন হয়, তার পুরোটাই ধোনির অ্যাকাউন্টে ফেলে দেওয়া হয়। ডেয়ারি ফার্মের এই গোরুদের সঙ্গেও ধোনি অনেকক্ষণ সময় কাটান।"