ভারতীয় ক্রিকেট আঙ্গিনায় তিনি অন্যতম অনুপ্রেরণা। বিশেষ করে আগামী প্রজন্মের জন্য ঝুলন গোস্বামী ওরফে ঝুল দি-ই এখন ব্র্যান্ড আম্বাসাডর। সেই ঝুলন গোস্বামী এবার পা দিলেন ৩৮ বছর বয়সে। পশ্চিমবঙ্গের নদীয়ার চাকদহের অলিতে-গলিতে ছোট থেকে ক্রিকেট খেলতে দেখা যেত ঝুলন গোস্বামীকে। সেই ঝুলন গোস্বামীই এখন ভারতীয় ক্রিকেটের স্টার। ২৫ নভেম্বর ১৯৮২ সালে তাঁর জন্ম হয়েছিল চাকদহে।
আন্তর্জাতিক মহিলা ক্রিকেটে প্রথম পেস বোলার হিসাবে ৩০০-রও বেশি উইকেট নিয়েছেন ঝুলন গোস্বামী। একদিনের ক্রিকেটে রয়েছে ২০০-রও বেশি উইকেট। দায়িত্ব পালন করেছেন ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দলের অধিনায়কত্ব। এক সময় নিজের এলাকায় চাকদহতে শুধুমাত্র পাড়ায় ছেলে বন্ধুদের সঙ্গে ক্রিকেট খেলতেন ঝুলন। এখন তিনি বিশ্বের অন্যতম সেরা।
বিশ্ব ক্রিকেট ঝুলন গোস্বামী একটা নাম। তবে সবার আগে তিনি বাঙালি। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের পর ভারতীয় ক্রিকেটে মহিলা দলে সব থেকে বেশি ক্রিকেট খেলেছেন ঝুলন। একই সঙ্গে বঙ্গের প্রথম মহিলা ক্রিকেটার হিসাবে নজির আছে তাঁর।
ক্রিকেট মাঠে এত বেশি নাম করলেও, নিজের জীবনে অনেক বেশি পরিশ্রম করেছেন ঝুলন। চাকদহের মতো একটি ছোট্ট শহর থেকে উঠে এসেছেন তিনি। সেখান থেকে প্রতিদিন ট্রেনে করেই ক্রিকেট শিখতে ও প্র্যাকটিস করতে কলকাতায় আসতেন ঝুলন গোস্বামী। সেখান থেকেই ধীর-ধীরে ঝুলন গোস্বামী হয়ে উঠেছেন তিনি।
ঝুলন গোস্বামীকে আরও এক নামে বলা হয় চাকদহ এক্সপ্রেস। ভারতীয় ক্রিকেটে বাংলার থেকে সৌরভের পর অন্যতম সেরা হিসাবে জায়গা করে নিয়েছেন ঝুলন। আন্তর্জাতিক টি২০ ফরম্যাট থেকে অবসর নিলেও, একদিনের ক্রিকেটে এখনও ধারাবাহিক পারফর্ম করে যাচ্ছেন তিনি।
ভারতীয় মহিলা ক্রিকেটার ঝুলন গোস্বামীর জন্মদিনে ইতিমধ্যেই শুভেচ্ছা জানানো হয়েছে বিসিসিআই-র তরফে। একই সঙ্গে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তাঁর স্বতীর্থ ক্রিকেটাররা। একটি ছোট্ট শহর থেকে উঠে এসে ক্রিকেট মাঠে অন্যতম সেরা হয়ে উঠেছেন। ঝুলনের মতো ব্যক্তিত্ব পারছে, এটাই এখন অনুপ্রেরণা উঠতি ক্রিকেটারদের কাছে।