বিরাট কোহলির টেস্ট অভিষেক হয় ২০১১ সালে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে কিংস্টনে তিনি টেস্ট ক্রিকেটার হিসেবে অভিষেক করেন।
২০১১-১২ সালে অস্ট্রেলিয়া সফরে গিয়ে অ্যাডিলেডে ভারতীয় দলের ব্য়াটিং বিপর্যয়ের মধ্যেও তিনি একা কুম্ভ হয়ে লড়েন। অ্যাডিলেডেই তিনি তাঁর জীবনের প্রথম টেস্ট শতরানটি কুড়িয়ে নেন।
বিরাট কোহলির অ্যাচিভমেন্টের অবশ্য কমতি নেই। তিনি ভারতের হয়ে সর্বোচ্চ আইসিসি টেস্ট র্যাঙ্কে পৌঁছেছিলেন। সচিন তেন্ডুলকরের ৮৮৭ পয়েন্টকে পিছনে ফেলে তিনি ৮৯০ পয়েন্টে পৌঁছন।
অন্যদিকে বিরাট কোহলি টেস্ট ব্য়াটসম্যান হিসেবে ৯২২ র্যাঙ্কিং পয়েন্টে পৌঁছন। যা আইসিসির এখনও পর্যন্ত রেকর্ড।
বিরাট কোহলি একমাত্র অধিনায়ক হিসেবে ৬ টি ডাবল সেঞ্চুরি করেছেন। তিনি টপকে গিয়েছেন ব্রায়ান লারার পাঁচটি ডাবল সেঞ্চুরিকে।
বিরাট বিশ্বের একমাত্র খেলোয়াড় যিনি দুটি আলাদা প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে টানা তিনটি সেঞ্চুরি করেছেন। আর কারও যা নেই।
মহেন্দ্র সিং ধোনিকে সফলতম বলে অনেকে মনে করলেও জয়ের শতকরা হিসেবে বলছে বিরাট কোহলি সফলতম এক দিবসীয় অধিনায়কও। তাঁর জয়ের শতাংশ ৭৫।
বিরাট কোহলি টেস্ট, ওয়ানডে, টি২০, সব ফরম্যাট মিলিয়ে ২০ হাজার রান সংগ্রহ করেছেন, যা খুব কম ব্য়াটসম্যানই অর্জন করতে পেরেছেন।
ভারতীয়দের মধ্যে সর্বোচ্চ দ্বিশতরান তাঁরই। তিনি সাতটি ডাবল সেঞ্চুরির মালিক। শচীন তেণ্ডুলকর এবং বীরেন্দ্র শেহবাগ ৬ টি করে ডাবল সেঞ্চুরি করেছেন।
আইপিএলের মতো ছোট ফরম্যাটেও বিরাট নিজের কর্তৃত্ব বজায় রেখেছেন। তিনি এক মরশুমে সর্বোচ্চ সেঞ্চুরি করেছেন। এক মরশুমে ৪ টি সেঞ্চুরি করেন।
এক মরশুমে আইপিএল এ সর্বোচ্চ মোট রানেও বিরাটই সেরা। তিনি এক মরশুমে ৯৭৩ রান করেছেন। যা আর কোনও স্বদেশী-বিদেশী ক্রিকেটারের নেই।
২০১৭ সালে বিরাট কোহলি এক মরশুমে সব ফরম্যাট মিলিয়ে ১১ টি আন্তর্জাতিক সেঞ্চুরি করেন। অধিনায়ক এবং ক্রিকেটার হিসেবে যা আর কারও নেই।
বিরাট কোহলি এক বছরে দ্রুততম ভারতীয় ক্রিকেটার হিসেবে ১ হাজার, ৫ হাজার. ৬ হাজার, ৭ হাজার, ৮ হাজার, ৯ হাজার, ১০ হাজার রান করেন তিনি।
তিনিই প্রথম ভারতীয় ক্রিকেটার হিসেবে নিজের নাম নথিভুক্ত করেছেন। যিনি এক দিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচে পরপর তিনটি সেঞ্চুরি করেছেন।
বিরাট কোহলি বিশ্বের দ্রুততম আন্তর্জাতিক ১৫ হাজার এবং ১৭ হাজার রানকারী একমাত্র ব্য়াটসম্যান। যা আর কারও নেই।
বিরাট একমাত্র ভারতীয় খেলোয়াড় যিনি পরপর দু বছরে পদ্মশ্রী এবং রাজীব খেলরত্ন পেয়েছেন। ২০১৭ সালে পদ্মশ্রী এবং ২০১৮ সালে রাজীব খেলরত্ন পান।
২০১৭ সালে তিনি এক মরশুমে ৩০০০ আন্তর্জাতিক রান করেন। সব ফরম্যাট মিলিয়ে এমন কর্তৃত্ব আর কারও নেই।
বিরাট কোহলি একমাত্র ক্রিকেটার, যিনি এক ক্যালেন্ডার ইয়ারে তিন ফরম্যাট মিলিয়ে ২০ হাজার আন্তর্জাতিক রান করেছেন। কুড়ি হাজার রান থাকলেও এক দশকে এই রেকর্ড আর কারও নেই।
বিরাটই বিশ্বের একমাত্র ১৫ হাজারের বেশি আন্তর্জাতিক রান সংগ্রাহক, যাঁর রানের গড় ৫০ এর উপরে। বাকি যাঁরা ১৫ হাজার রান করেছেন তাঁর গড় ৫০ এর নীচে।
২০১৯ সালে বিরাটকোহলি আইসিসি অ্যাওয়ার্ডে ক্লিন সুইপ করেন। তিনি আইসিসি বর্ষসেরা ক্রিকেটার হন। সেই সঙ্গে আইসিস বর্ষসেরা ওয়ানডে, টেস্ট ক্রিকেটারও হন। পাশাপাশি ভারত সেরা দলের তকমা পায়।
বিরাটের ব্যাটিং স্টাইল দেখে মনে করা হয় তিনি টি২০ ক্রিকেটার হিসেবে ততটা সফল নন। কিন্তু তিনিই বিশ্বের দ্রুততম টি২০ ২ হাজার রান সংগ্রাহক।
হাসিম আমলার সঙ্গে যৌথভাবে বিরাট কোহলি দ্রুততম ৫০টি আন্তর্জাতিক সেঞ্চুরির মালিক। দুজনই ৩৪৮ ইনিংসে এই রান সংগ্রহ করেছেন।