মুম্বই সিটি এফসি-র বিরুদ্ধে গোল করে আলোড়ন ফেলে দিয়েছেন মোহনবাগানের তরুণ ফুটবলার দীপেন্দু বিশ্বাস। অন্যদিকে কেরল ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধে ইস্টবেঙ্গল জার্সিতে অভিষেক করলেও, আনোয়ার আলিকে ম্যাচ হারতে হয়েছে। ঠিক যে জায়গায় আনোয়ার গত মরসুমে মোহনবাগানে খেলেছেন সেই জায়গাতেই খেলছেন দিপেন্দু। ডুরান্ড কাপে খেলেছেন, তবে এবার লড়াই আইএসএল-এ। আনোয়ার দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর খেলার সুযোগ পেয়েছেন ইস্টবেঙ্গলে। দেখে নেওয়া যাক দুই তারকার প্রথম ম্যাচের নিরিখে পারফরম্যান্স কেমন-
গোল করেছেন দিপেন্দু
দারুণ গোল করে মোহনবাগান সুপার জায়েন্টকে সমতা এনে দিয়েছিলেন দীপেন্দু বিশ্বাস। ফ্রিকিক থেকে করা তাঁর হেড দ্বিতীয় পোস্টের গা ঘেষে ঢুকে যায় জালে। তবে ভুললে চলবে না আনোয়ারও প্রচুর গোল করেছেন। তাঁর হ্যাটট্রিক যেমন আছে, তেমনই অনূর্ধ্ব-২২ ভারতীয় দলের হয়ে আর্জেন্টিনার বিরুদ্ধে ফ্রি কিকে গোলও আছে।
ডিফেন্সে ভরসা দিয়েছেন আনোয়ার
কেরল ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধে ম্যাচ হারতে হলেও, ডিফেন্সে লাল-হলুদকে ভরসা দিয়েছেন আনোয়ার। তাঁকেই ভারতীয় ফুটবলে এ মুহূর্তে সেরা ডিফেন্ডার হিসেবে ধরা হচ্ছে। ভাঙাচোরা ডিফেন্সে তিনি অনেকটাই জমাট ভাব আনতে পেরেছেন। তবে কেরল ম্যাচে দ্বিতীয় গোলের ক্ষেত্রে তাঁকে কিছুটা হলেও দায়ি করা যায়। আসলে পেপ্রার শট তাঁর পায়ের তোলা দিয়েই গোলে ঢোকে। তবে সেক্ষেত্রে ইস্টবেঙ্গল গোলকিপার প্রভসুকান সিং গিলের পজিশন নিয়েও প্রশ্ন উঠবে। দুই গোলের ক্ষেত্রেই প্রথম পোস্ট দিয়ে বল জালে ঢুকেছে।
সঠিক পাস
সঠিক সময় বল ছাড়া এবং সতীর্থের কাছে সেই বল পৌঁছে দেওয়া ফুটবলে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সেখানে প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমে ৪৮টি সঠিক পাস দিয়েছেন আনোয়ার। অন্যদিকে ২ ম্যাচে ৭৫টি সঠিক পাস দিয়েছেন দীপেন্দু। দুইবার ফাউল করেছেন বাঙালি এই ডিফেন্ডার। তবে এক্ষেত্রে এগিয়ে আনোয়ার। ডিফেডার হলেও, প্রথম ম্যাচে তিনি কোনও ফাউল করেননি।
গোটা আইএসএল জুড়ে যখন বিদেশি ফুটবলার ও ভিন রাজ্যের ফুটবলারদের রমরমা, সেই সময় দিপেন্দু, শুভাশিস, প্রীতম কোটালরা বাংলার ফুটবলের ঐতিহ্যকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। তার সঙ্গে এই তরুণ ডিফেন্ডারের গোল করার দক্ষতা আরও নজর কেড়েছে। সেই কারণেই চম্পাহাটির এই ফুটবলারকে নিয়ে স্বপ্ন দেখছেন মোহনবাগান সমর্থকরা। নলকূপ মিস্ত্রির ছেলে দীপেন্দু এত কিছুর পরেও মাটিতে পা রেখেই চলছেন। বলছেন, আরও ভাল ডিফেন্স করতে হবে। না হলে গোল খাওয়ার রোগ যে সারবে না।