চ্যাম্পিয়নস লিগের (UEFA Champions League) কোয়ার্টার ফাইনালের দ্বিতীয় লেগের হাই ভোল্টেজ ম্যাচে ঘরের মাঠে হেরে গেল ম্যঞ্চেস্টার সিটি (Manchester City)। ৯০ মিনিট পর্যন্ত খেলার ফলাফল ১-১ থাকায় খেলা গড়ায় এক্সট্রা টাইমে। ৩০ মিনিটেও ফয়সালা না হওয়ায়, ম্যাচ গড়ায় পেনাল্টিতে। সেখানেই দুটি অনবদ্য সেভ করে রিয়ালকে শেষ চারে তোলেন গোলকিপার লুনিন। পেনাল্টির ফলাফল হয় ৪-৩।
চ্যাম্পিয়নস লিগের দ্বিতীয় লেগের ম্যাচে নিজেদের ঘরের মাঠে রিয়াল মাদ্রিদের (Real Madrid) সঙ্গে খেলতে নেমেছিল ম্যঞ্চেস্টার সিটি। কিন্তু মুখরক্ষা হল না। রিয়ালের কাছে হেরে এ বছরের চ্যাম্পিয়নস লিগ থেকে বিদায় নিল সিটি। ফলে এবার আর ট্রেবেল জেতা হল না তাঁর। প্রথম লেগে টানটান উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচে যথেষ্ট ভালো খেলেছিল সিটি। দ্বিতীয় লেগেও তার অন্যথা হয়নি। প্রথম থেকেই নিজেদের দখলে বল রাখতে শুরু করে তাঁরা। কিন্তু ম্যাচের ১২ মিনিটে ডান দিক থেকে ভিনিসিয়াসের বাড়ানো বলে শট মারেন রদ্রিগো কিন্তু তা আটকে দেন এডারসন কিন্তু ফিরতি বল আবারও পেয়ে জান রদ্রিগো। এবার আর কোন ভুল করেন নি তিনি। তারপর থেকে আক্রমনে ঝাঁজ বাড়াতে থাকে সিটি। একের পর এক আক্রমনে আছড়ে পোরে রিয়ালের বক্সে। বাঁ দিক থেকে ফোডেন এবং দি ব্রুইন লাগাতার শট মারতে থাকেন। কিন্তু রিয়াল মাদ্রিদের ডিফেন্স এবং গোল রক্ষকের কাছে বারং বার পরাস্ত হতে হয় তাদের। বেশ কোয়াকটি ভালো সেভ করেন লুনিন। যার কারণে স্কোর কার্ডের কোন পরিবর্তন হয় না। প্রথমার্ধের খেলা খেলা শেষ হয় ১-০ গোলে। দ্বিতীয়ার্ধেও একইভাবে আক্রমণ বজায় রাখে সিটি। কিন্তু ম্যাচের ৭৬ মিনিটে কেভিন দি ব্রুইনার গোলে সিটি সমতা ফেরায়। তারপরে আরও বেশি রিয়ালকে চেপে ধরে সিটি। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের খেলা শেষ হয় ১-১ গোলে। এক্সট্রা টাইমেও গোল না হওয়ায় খেলা চলে যায় পেনাল্টিতে।
পেনাল্টিতে প্রথম শট মারে মাদ্রিদের মদ্রিচ কিন্তু সেটি সেভ দিয়ে দেন এডারসন। কিন্তু অপরদিকে পরপর দুটি সিলভা এবং কোভাসিচের পেনল্টি সেভ দেন লুনিন। তাতেই ব্যাকফুটে চলে যায় সিটি। মাদ্রিদের হয়ে পর পর চারটি শটে গোল করেন বেলিংহ্যাম, ভাসকুয়েজ, ন্যাচো এবং রুডিগার। আর তার সুবাদেই সেমিফাইনালের টিকিট কাটলো রিয়াল।
অন্যদিকে আর্সেনালের বিরুদ্ধে জয় ছিনিয়ে নেয় বায়ার্ন মিউনিখ। আগ্রিগেট স্কোর হয় ৩-২। আর তাই ৩০ এপ্রিল বায়ার্নের সঙ্গে তাদের ঘরের মাঠে সেমিফাইনাল খেলবে রিয়াল। দ্বিতীয় লেগ খেলা হবে মে মাসের ৭ তারিখ রিয়ালের নিজেদের মাঠে।