শনিবার হায়দরাবাদ এফসি-র বিরুদ্ধে দারুণ দুই গোল করে ইস্টবেঙ্গলকে এবাবের আইএসএল-এ প্রথম জয় এনে দিয়েছেন ক্লেইটন সিলভা। তবে দ্বিতীয় গোল করার পর, সেলিব্রেশনে মাতেন ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার। এরপরেই চোট পান তিনি। আর তা নিয়েই চিন্তায় ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা।
ইনজুরি টাইমের একেবারে শেষদিকে দুরন্ত ফ্রিকিক থেকে গোল করেন ক্লেইটন। গত মরশুমে দারুণ খেললেও, এই মরশুমে শুরু থেকে ছন্দে ছিলেন না ক্লেইটন। শনিবার শুরু থেকেই ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকারকে নামিয়ে দিয়েছিলেন কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত। সিভেরিও কনজাংটিভাইটিসে আক্রান্ত হওয়ায় শুরু থেকে নামাননি তিনি। ক্লেইটন গোটা ম্যাচ খেলেছেন শুধু নয়, দুটো গোলও করেছেন। তবে গোল করার পরেই হ্যামস্ট্রিং-এ টান লাগে তাঁর। এমনকি স্ট্রেচারে করে মাঠের বাইরে নিয়ে আসতে হয়। নিজেই স্ট্রেচারের দিকে ইঙ্গিত করেন ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার। এর জেরেই আশঙ্কায় ভুগছেন লাল-হলুদ সমর্থকরা। যদিও বুধবার বেঙ্গালুরু এফসি-র বিরুদ্ধে খেলবে ইস্টবেঙ্গল।
হায়দরাবাদ এফসি শুরুতেই ১-০ গোলে এগিয়ে যায়। তবে এই ব্যবধান বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি হায়দরাবাদ। ম্যাচের ১০ মিনিটের মাথায় সমতা ফেরে ইস্টবেঙ্গল। লাল-হলুদের হয়ে ১-১করেন ক্লেটন সিলভা। বক্সের ভিতর থেকে হায়দরাবাদের জালে বল জড়িয়ে দেন সিলভা।
দ্বিতীয়ার্ধেও চলে আক্রমণ প্রতি আক্রমণের লড়াই। ম্যাচের ৫৮ মিনিটের মাথায় গোলের সুযোগ হাতছাড়া করে ইস্টবেঙ্গল। ভালো জায়গায় বল পেয়েও দুর্বল শট নেন মহেশ। বল প্রতিহত হয় হায়দরাবাদের রক্ষণে। ম্যাচের ৭৯ মিনিটের মাথায় নন্দকে বক্সের ভিতরে বাধা দেন হায়দরাবাদের ডিফেন্ডাররা। নন্দকুমার বক্সের ভিতরে পড়ে গেলে পেনাল্টির আবেদন জানায় ইস্টবেঙ্গল। যদিও রেফারি তা নাকচ করেন।
৮০ মিনিটের মাথায় কর্ণার পেয়ে যায় হায়দরাবাদ। তবে তারা তা কাজে লাগাতে পারেনি। এরপর ফের আক্রমণে ঝাঁঝ বাড়ায় কুয়াদ্রাতের দল। যার ফলে ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ে ২-১ করেন লাল-হলুদ অধিনায়ক। বক্সের বাইরে থেকে বিশ্বমানের গোল করেন ক্লেটন সিলভা। তাঁর শট প্রথম পেস্টের কোণ ঘেঁষে হায়দরাবাদের জালে জালে জড়িয়ে যায়। বল লাগে ক্রসবারের নীচে। গোলকিপার অনূজের নাগালের বাইরে ছিল বল।