নতুন ইতিহাস গড়ল ইমামি ইস্টবেঙ্গল (Emami East Bengal)। কলকাতা ময়দানে প্রথমবার মহিলা সিইও হিসেবে দায়িত্ব নিলেন নম্রতা পারেখ (Namrata parekh)। মঙ্গলবার ইমামি ইস্টবেঙ্গলের পক্ষ থেকে এই কথা ঘোষণা করে। ফুটবল দুনিয়ায় তিনি নতুন নয়। অবাঙালি হলেও নম্রতার জন্ম কলকাতায়। সাত বছর আগে নিজেই তৈরি করেছিলেন মেরাকি স্পোর্ট অ্যান্ড এন্টারটেনমেন্ট। সেখানে বিভিন্ন ধরনের খেলার সঙ্গে যুক্ত থেকেছেন তিনি।
রাহুল দ্রাবিড়, দীপা কর্মকারদের সঙ্গে কাজ করেছেন
ভারতীয় ক্রিকেট দলের কোচ রাহুল দ্রাবিড় (Rahul Dravid) ও দীপা কর্মকারদের সঙ্গে কাজ করেছেন নম্রতা। ফলে বোঝাই যাচ্ছে, বিভিন্ন খেলার সঙ্গে যুক্ত থেকেছেন লাল-হলুদের নতুন সিইও। পুনের সিম্বায়োসিস ইন্টারন্যাশানাল ইউনিভার্সিটি থেকে ম্যানেজমেন্টের পাঠ নিয়েছেন নম্রতা।
আরও পড়ুন: বহু পুরুষের হার্টথ্রব ভারতীয় ক্রিকেটার স্মৃতি, কীভাবে নিজেকে মেনটেইন করেন? PHOTOS
কলকাতা ফুটবলের আবেগ বোঝেন
আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে কলকাতায় এসে ইমামি ইস্টবেঙ্গলের তাঁবুতে আসবেন তিনি। লাল হলুদ রং এবং চিরপ্রতিদ্বন্দী এটিকে মোহনবাগানের সঙ্গে মাঠের লড়াই সম্পর্কেও বেশ ভাল ধারনা রয়েছে নম্রতার। তিনি বলেন, “আমার বাবা-মা কলকাতার। ফলে ফুটবলের দুই প্রধান দলের ফুটবল ঐতিহ্য, আবেগ ও উন্মাদনা সম্পর্কে সচেতন। তাই এই দুই ক্লাবের জয়-পরাজয় সাফল্য ও ব্যর্থতা ঘিরে আবেগ দেখেই আমি দেখে বড় হয়েছি।''
আরও পড়ুন: BCCI সভাপতি পদে থাকবেন সৌরভ? আজ রায় সুপ্রিম কোর্টে
কলকাতায় জন্ম নম্রতার। তাই মাঝেমধ্যে কাজের ফাঁকে সময় পেলে কলকাতায় চলে আসতেন তিনি। তবে এবার জড়িয়ে পড়লেন এই শহরের সঙ্গে। জড়ালেন এক শতাব্দী প্রাচীন ঐতিহ্যের সঙ্গে। নম্রতা বলেন, ''ছোট থেকেই কলকাতায় যাতায়াত রয়েছে। মাঝেমধ্যে আসতাম তবে এবার জড়িয়ে গেলাম নিজেই।” তবে আবেগ সরিয়ে, পেশাদারি দিক থেকে ইমামি ইস্টবেঙ্গলকে দেখতে চাইছেন তিনি। নম্রতা বলেন, “ইস্টবেঙ্গল জনতার আবেগ জানি। কিন্তু তার সঙ্গে পেশাদারি মানসিকতাও জরুরি। আমাকে দু'টোর ভারসাম্য রেখে চলতে হবে। যাতে ইমামি ইস্টবেঙ্গলকে সাফল্যের রাস্তায় নিয়ে যাওয়া যায়।” সমর্থকদের সঙ্গে 'জয় ইস্টবেঙ্গল' বলে গলা ফাটাতেও আগ্রহী নম্রতা। তবে বলাই যায় কলকাতা ময়দান নারী শক্তির ক্ষমতায়নের অভিষেক দেখা ইস্টবেঙ্গলের হাত ধরে।