খেলল মরক্কো (Morocco), জয় পেল ফ্রান্স (France)। ২-০ গোলে আফ্রিকান লায়ন্সদের হারিয়ে ফাইনালে চলে গেল গতবারের চ্যাম্পিয়নরা। ৫ মিনিটেই প্রথম গোল খেয়ে যায় মরক্কো। তবে তারপর একের পর এক আক্রমণ তুলে আনতে থাকে মরক্কো। তবে গোল আসেনি। শেষ মুহূর্তে আমরাবাতদের আশাভঙ্গ করে দিলেন নতুন নামা মুয়ানি। প্রথম টাচেই গোল করে গেলেন তিনি।
ফুটবল বিশ্বকাপের সব খবরের জন্য় এখানে ক্লিক করুন
কেন হারতে হল মরক্কোকে?
প্রথমত, অভিজ্ঞতার কাছেই হেরে গেল মরক্কো। গোটা মাঠজুড়ে খেলে গেলেন মরোক্কানরা। দ্বিতীয়ার্ধে, বেশ কয়েকবার ফরাসি ডিফেন্স ভেঙে দিয়েছিল তারা। তবুও গোল পেলেন না এল নাসিরিরা (En-Nesyri)। গোল করার সুযোগ যে আসেনি তা নয়। জালে বল ঢোকেনি। স্ট্রাইকাররা কাজের কাজটা করতে পারেননি অভিজ্ঞতার অভাবে।
আরও পড়ুন: আর্জেন্টিনাকে ফাইনালে তুলে একাধিক রেকর্ড ভাঙলেন মেসি
দ্বিতীয়ত, হুগো লরিস বারবার দারুণ সেভ করে লড়াইয়ে রাখেন ফ্রান্সকে। ডিফেন্স করতে নেমে আসেন গ্রিজম্যানও (Antoine Griezmann)। ফলে শক্তি বাড়ে ডিফেন্সের। গোল করতে মরিয়া মরক্কো ম্যচের শেষ দিকে গোল খেয়ে বসে। ফলে লড়াই হাতের বাইরে চলে যায়।
তৃতীয়ত, শুরু থেকেই প্রতি আক্রমণে উঠে আসতে থাকে ফ্রান্স। ৫ মিনিটে গোল খেয়ে যায় মরক্কো। ডিফেন্সের ভুলে গোলটা খেতে হয় তাদের। দ্রুত প্রতি আক্রমণে উঠে আসতে থাকা ফ্রান্স যে কতটা ভয়ঙ্কর তা আবারও বোঝা গেল এদিন। এমবাপেকে (Kylian Mbappe) খেলার সুযোগ না দিলেও কাজের কাজ করে গেলেন। গোল না পেলেও দুটো গোলের অ্যাসিস্ট তাঁরই।
জিতেও চিন্তা থাকল ফ্রান্সের
ফাইনালে উঠে গেলেও চিন্তা থাকল দিদিয়ের দেশঁর (Didier Deschamps)। গোল করার ক্ষেত্রে দক্ষতা দেখালেও ডিফেন্স ও মাঝমাঠ নিয়ে চিন্তা থাকবে তাঁর। র্যাবিওর অনুপস্থিতিতে কে সামলাবেন মাঝমাঠ? গ্রিজম্যাব চেষ্টা করছেন। কিন্তু সব ফাঁক-ফোকর ভরাট হচ্ছে না। ফাইল চাপ বাড়ছে ডিফেন্সের ওপর। মরক্কোর গোল করার মত পরিস্থিতি তৈরি করেছে বারবার। সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি স্ট্রাইকাররা। তবে আর্জেন্টিনার বিরুদ্ধে তা হবে না। মেসি, আলভারেজরা যে ছন্দে আছেন, তাতে এমন ডিফেন্স ভাঙতে সময় লাগবে না। স্কালোনি বিভিন্ন ম্যাচে বিভিন্ন ভাবে দলকে খেলান। এই ম্যাচেও নজর ছিল তাঁর। তাই আর্জেন্টিনার বিরুদ্ধে মাঝমাঠের দখল হারালে লড়াইয়ে ফেরা বেশ কঠিন।