scorecardresearch
 

Happy Birthday MS Dhoni: ধোনিকে দেখে নিয়মই বদলে ফেলে BCCI, সে বার নেমেই সেঞ্চুরি

ভারতীয় দলের প্রাক্তন অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি ভারতীয় ক্রিকেটের অন্যতম সফল ক্যাপ্টেন। শুক্রবার ৪২ বছরে পা দিলেন মাহি। ২৩ বছর বয়সে ধোনি তাঁর আন্তর্জাতিক কেরিয়ার শুরু করেন। তাঁর নেতৃত্বেই ভারত তিনটি আইসিসি খেতাব জিতেছে। আন্তর্জাতিক কেরিয়ারে ৫ এপ্রিল ২০০৫-এ, ধোনি তার পঞ্চম একদিনের ম্যাচে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ১৪৮ রান করেন। পরে, তিনি তাঁর কেরিয়ারের পঞ্চম টেস্টেও ১৪৮ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন।

Advertisement
মহেন্দ্র সিং ধোনি মহেন্দ্র সিং ধোনি
হাইলাইটস
  • আজ ধোনির জন্মদিন
  • ৪২ বছরে পা দিলেন ধোনি

ভারতীয় দলের প্রাক্তন অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি ভারতীয় ক্রিকেটের অন্যতম সফল ক্যাপ্টেন। শুক্রবার ৪২ বছরে পা দিলেন মাহি। ২৩ বছর বয়সে ধোনি তাঁর আন্তর্জাতিক কেরিয়ার শুরু করেন। তাঁর নেতৃত্বেই ভারত তিনটি আইসিসি খেতাব জিতেছে। আন্তর্জাতিক কেরিয়ারে ৫ এপ্রিল ২০০৫-এ, ধোনি তার পঞ্চম একদিনের ম্যাচে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ১৪৮ রান করেন। পরে, তিনি তাঁর কেরিয়ারের পঞ্চম টেস্টেও ১৪৮ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন।


মহেন্দ্র সিং ধোনি BCCI-এর ট্যালেন্ট রিসার্চ ডেভেলপমেন্ট ডিপার্টমেন্টের নজরে আসেন। তবে মহেন্দ্র সিং ধোনি ২১ বছর বয়সে BCCI-এর TRDW স্কিমে অন্তর্ভুক্ত হন, যেখানে এর বয়সসীমা ছিল ১৯ বছর। এর পেছনে রয়েছে খুবই মজার গল্প। আসলে, প্রাক্তন বাংলার অধিনায়ক প্রকাশ পোদ্দারের নির্দেশেই ধোনিকে টিআরডিডব্লিউ-তে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। পোদ্দারের জোরাজুরিতে, ভেঙ্গসরকার সিদ্ধান্ত নেন যে প্রতিভাবান খেলোয়াড়ের ক্ষেত্রে এই নিয়মে ছাড় দেওয়া উচিত। অনূর্ধ্ব-১৯ ম্যাচ দেখতে জামশেদপুর গিয়েছিলেন পোদ্দার। একই সময়ে, বিহার দল সংলগ্ন কেনান স্টেডিয়ামে একটি ৫০ ওভারের ম্যাচ খেলছিল এবং বল বারবার স্টেডিয়াম থেকে চলে আসছিল। এর পরে পোদ্দার কৌতূহলী হয়েছিলেন যে এত জোরে কে বল মারছে। তিনি এরপরেই ধোনির কথা জানাতে পারেন।


সেখান থেকেই তাঁর উত্থান। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রাখার সঙ্গে সঙ্গে ধোনিকে অস্ট্রেলিয়ান কিংবদন্তি অ্যাডাম গিলক্রিস্টের সঙ্গে তুলনা করা হতে থাকে মাহির শেষ ওভার পর্যন্ত রান তাড়া করতে পারার ক্ষমতা ফিনিশার হিসাবে মাইকেল বেভানের কাছাকাছি নিয়ে গিয়েছে। তিন বছরের মধ্যে, ধোনি ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টির অধিনায়ক নিযুক্ত হন। 

আরও পড়ুন


তাঁর নেতৃত্বে ২০১১ এবং ২০১২ সালে, ভারত ইংল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টানা 8 টি হারের মুখে পড়েন। পরের বছর অস্ট্রেলিয়ায় সিবি সিরিজের ফাইনাল জিতেছিল। এর পরে, ধোনি ২০০৮ সালে টেস্ট অধিনায়কত্ব গ্রহণ করেন এবং অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড এবং নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে স্মরণীয় সিরিজ জয় রেকর্ড করেন। ২০০৯ সালের ডিসেম্বরে ভারত টেস্ট ক্রিকেটে নম্বর-১ হয়ে ওঠে। কিন্তু তার অধিনায়কত্বে, ২০১১ এবং ২০১২ সালে, ভারত ইংল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টানা হারে। এই পরাজয়ের কারণে ভারত শীর্ষ র্যারঙ্কিং হারায়।

Advertisement


মহেন্দ্র সিং ধোনি ৩৫০ একদিনের ম্যাচে ৫০.৫৭ গড়ে ১০৭৭৩ রান করেছেন, যার মধ্যে ১০টি সেঞ্চুরি এবং ৭৩টি হাফ সেঞ্চুরি রয়েছে। এই সময়ে তাঁর সর্বোচ্চ স্কোর ছিল অপরাজিত ১৮৩। ওয়ানডেতে উইকেটের পেছনে নিয়েছেন ৪৪৪ উইকেট। ধোনি ৯০ টেস্টে ৩৮.০৯ গড়ে ৪৮৭৬ রান করেছেন। টেস্টে তিনি ৬টি সেঞ্চুরি ও ৩৩টি হাফ সেঞ্চুরি করেছেন। 

Advertisement