সম্প্রতি টেলিগ্রাফ সংবাদপত্রে প্রকাশিত খবর অনুসারে জানা গেছে, টোকিও অলিম্পিক শুরুর আগে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজ়েশনের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে। কারণ? লক্ষ্য, আসন্ন ২০২১ অলিম্পিক শুরু হওয়ার আগে প্রত্যেক অ্যাথলিটকে করোনার ভ্যাকসিন দেওয়া হবে, যাতে টোকিও গেমস চলাকালীন এই মারনব্যাধিতে কেউ আক্রান্ত না হন।
মাঝখানে এমনও খবর শোনা যাচ্ছিল যে করোনার কারণে হয়ত বাতিল হয়ে যেতে পারে টোকিও অলিম্পিক। কিন্তু, আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির শীর্ষকর্তা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, এখনই টুর্নামেন্ট বাতিল করার কোনও ভাবনা তাঁদের মাথায় নেই। বরং তাঁরা প্রত্যেক অ্যাথলিটকে যতটা তাড়াতাড়ি সম্ভব COVID-19 ভ্যাকসিন দেওয়ার পরিকল্পনা করছেন। তাহলেই নিরাপদে টোকিও গেমস আয়োজন করা যেতে পারে।
আপাতত ইউরোপ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেই এই ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। তবে জাপানও পরের মাসের শেষের দিক থেকে ভ্যাকসিন দেবে বলে পরিকল্পনা করেছে।
IOC Executive Board meeting - Information for the media. The International Olympic Committee (IOC) Executive Board (EB) will meet remotely by videoconference on Wednesday 27 January 2021. https://t.co/NaqMv5yVJ1 #IOCEB
— IOC MEDIA (@iocmedia) January 21, 2021
জাপানের শীর্ষ ক্যাবিনেট সচিব কাতসুনোবো কাতো গত মঙ্গলবার জানিয়েছিলেন, টোকিও গেমসের জন্য দেশের জনগণকে করোনার ভ্যাকসিন দেওয়া বাধ্যতামূলক নয়।
একটি সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেছিলেন, "আমাদের দেশের করোনা প্রতিরোধ করার জন্য ইতিমধ্যে প্রচুর সুরক্ষা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে যাতে সুস্থ এবং স্বাভাবিকভাবে এই প্রতিযোগিতা আয়োজন করা যায়। এই খেলা আয়োজন করার জন্য আলাদা করে ভ্যাকসিন দেওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই।"
IOC statement on media reports regarding Tokyo 2020 pic.twitter.com/647pj5mx9U
— IOC MEDIA (@iocmedia) January 22, 2021
কথা ছিল, গত বছর মার্চ মাসে এই অলিম্পিক আয়োজন করা হবে। কিন্তু, করোনা মহামারীর কারণে সেটা পিছিয়ে দেওয়া হয়। অলিম্পিক ইতিহাসে এই প্রথমবার কোনও প্রতিযোগিতা পিছিয়ে দেওয়া হল। আশা করা হচ্ছে, চলতি বছর ২৩ জুলাই থেকে এই টুর্নামেন্ট আবারও শুরু করা যাবে।