মুম্বই সিটি এফসি-র (Mumbai City FC) বিরুদ্ধে নিয়মভঙ্গের অভিযোগে পয়েন্ট কাটা গেল জামশেদপুর এফসি-র (Jamshedpur FC)। এর জেরে সুবিধা পেল ইস্টবেঙ্গল (East Bengal)। আর মুম্বই আরও ৩ পয়েন্ট পেয়ে শীর্ষস্থান আরও জোরাল করে ফেলল। ফলে কিছুটা অসুবিধা হল মোহনবাগান সুপার জায়েন্টের (Mohun Bagan Super Giant)। কারণ তারা থাকল দুই নম্বরে (ISL Point Table)। এই মরসুমে লিগ শিল্ড জিতে এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে নিজেদের জায়গা পাকা করতে চাইছে আন্তোনিও লোপেজ হাবাসের দল।
কেন পয়েন্ট কাটা গেল জামশেদপুরের?
নিয়ম অনুসারে খেলা চলাকালীন সাত জন ভারতীয় ফুটবলারকে থাকতে হবে। তবে সেই ম্যাচে ড্যানিয়েল চিমা চুকু লাল কার্ড দেখে বেরিয়ে যেতেই কোচ খালিদ জামিল আরও একজন ভারতীয় ফুটবলারের জায়গায় আরও এক বিদেশিকে নামিয়ে দেন। ফলে ছয় জন ভারতীয় ফুটবলার হয়ে যায়। এর জেরেই শাস্তির মুখে পড়তে হয়েছে জামশেদপুরকে। অভিযোগ দায়ের করে মুম্বই। ফেডারেশনের শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটি। নিয়ম অনুসারে ব্যবস্থা নিয়েছে। ফেডারেশন পয়েন্ট কেটে নেওয়ার পরে জামশেদপুর এফসি এই ঘটনার জন্য ক্ষমা চেয়েছে। ভুল বোঝাবুঝির জন্যই এমন ঘটনা ঘটেছে বলে তাদের দাবি।
কেন সুবিধা হল ইস্টবেঙ্গলের?
জামশেদপুর এফসি পয়েন্ট হারিয়ে ২০ পয়েন্ট পেয়েছে। ইস্টবেঙ্গল সেখানে ১০ নম্বরে পয়েন্ট ১৮। পয়েন্ট কাটার পরে প্রথম ছয় থেকে নেমে গিয়েছে জামশেদপুর। তারা এখন ৮ নম্বরে। পাশাপাশি পঞ্জাব এফসি গোল পার্থকের নিরিখে ৬ নম্বরে উঠে এসেছে। আর তিনটে ম্যাচ হাতে রয়েছে ইস্টবেঙ্গলের। একটাও পয়েন্ট না হারালে অর্থাৎ তিন ম্যাচই জিততে পারলে লাল-হলুদের পয়েন্ট দাঁড়াবে ২৭। তারা উঠে আসবে ষষ্ঠ স্থানে। তবে সেক্ষেত্রে পঞ্জাব এফসি, বেঙ্গালুরু এফসি, জামশেদপুর এফসিকে পয়েন্ট নষ্ট করতে হবে।
কেন সমস্যা হল মোহনবাগানের?
১৯ ম্যাচে ৪১ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রয়েছে মুম্বই। এর আগেও তারা শীর্ষেই ছিল। তবে মোহনবাগানের সঙ্গে তাদের পয়েন্টের পার্থক্য ছিল না। একটা ম্যাচ কম খেলে একই পয়েন্টে ছিল তারা। তবে এখন ১৮ ম্যাচে ৩৯ পয়েন্ট পাওয়া হাবাসের দলকে শীর্ষে যেতে হলে চেন্নাইয়েন এফসি-র বিরুদ্ধে ম্যাচটা জিততেই হবে। পাশাপাশি খেয়াল রাখতে হবে গোল পার্থক্যের দিকেও। এদিন তা বেড়ে গেল মুম্বইয়ের। এত দিন মোহনবাগানের সঙ্গে মাত্র এক গোলের পার্থক্য ছিল তাদের। আর এবার তা বেড়ে হল চার।