'রিমুভ এটিকে (Remove ATK)' আন্দোলন নিয়ে ফের সরব হলেন মোহনবাগানের (Mohun Bagan) সহ সভাপতি কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। মঙ্গলবার সকালে ফেসবুকে বিবৃতি দিয়ে মোহনবাগান কর্তা এই আন্দোলনকে সমর্থন করলেন। তবে আন্দোলনের কিছু বিষয় তাঁর আপত্তি রয়েছে বলেও বিবৃতিতে জানিয়েছেন কুণাল । সহ সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই সমর্থকদের একাংশের মত কুণালও এটিকে নাম সরানোর দাবি করতে থাকেন।
ঘটনার সূত্রপাত রবিবার
লক্ষ্মী পুজোর দিন বিক্ষুব্ধ সমর্থকদের একাংশ ক্লাব সচিব দেবাশিস দত্তের বাড়িতে বিক্ষোভ দেখাতে যান। প্রথমে ক্লাবের গেটের সামনে বিক্ষোভ হওয়ার কথা থাকলেও বেশ কিছু সমর্থক সোজা দেবাশিসের বাড়ির সামনে এসে জড়ো হন। সেখানে 'রিমুভ এটিকে' স্লোগান দিতে থাকেন তাঁরা। এই ঘটবার নিন্দা করে বিবৃতি দেয় মোহনবাগান ক্লাব। ক্লাবের পক্ষ থেকে সহ সচিব সত্যজিৎ চট্টপাধ্যায়ের দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়, মার্জারের বিষয় আগের এক্সিকিউটিভ কমিটি সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। সেখানে তৎকালীন অর্থ সচিব দেবাশিস দত্তের কিছু বলার ছিল না।
আরও পড়ুন: জোর কোন্দল বাগানে, Remove ATK নিয়েই দেবাশিসের সঙ্গে কাজিয়া সৃঞ্জয়-কুণালের
পাল্টা বিবৃতি দেন তৎকালীন সচিব
মোহনবাগানের বিবৃতি সামনে আসার পরে পাল্টা বিবৃতি দেন প্রাক্তন সচিব সৃঞ্জয় বসু। সমর্থকদের আন্দোলন করার পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তোলার পাশাপাশি তিনি জানিয়ে দেন, ক্লাবের পক্ষ থেকে যা জানান হয়েছে তা সত্যি নয়। কারণ, 'মার্জারের সময় ক্লাবের কার্যকরী কমিটিতে যাঁরা ছিলেন, তাঁদের বেশিরভাগ সদস্য এবারও কমিটিতে আছেন। ফলে অনেকেই জানেন, আসল সত্যটা। ক্লাবের কার্যকরী কমিটি সর্বসম্মতিক্রমে আমাকে আর দেবাশিস দত্তকে দায়িত্ব দিয়েছিল, পুরো ইস্যুটা নিয়ে এটিকের সঙ্গে আলোচনা করার জন্য । ফলে সেই আলোচনায় সমান দায়িত্ব দেবাশিস দত্তরও ছিল। তাছাড়া চুক্তিপত্রে ফুটবল টিমের তৎকালীন কোম্পানি (মোহনবাগান ফুটবল ক্লাব ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেড)-এর তরফে আমি এবং দেবাশিস দত্ত দু জনেই সই করেছিলাম “ডিরেক্টর” হিসেবে। ফলে চুক্তিপত্রে সময় কে সচিব আর কে অর্থ সচিব সেটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল না। ফলে ক্লাবের তরফে একটা ভুল তথ্য দিয়ে সবাইকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে।'
আরও পড়ুন: মোহনবাগান সচিবের বাড়ির সামনে মেরিনার্সদের বিক্ষোভ, কী দাবি সমর্থকদের?
সোমবার রাতে ফেসবুকে নিজের অবস্থান জানান কুণাল
সোমবার রাতে ফেসবুক পোস্ট করে কুণাল বলেন, '১০ অক্টোবর মোহনবাগান ক্লাবের বিবৃতির বয়ানের সঙ্গে অনেকাংশেই একমত নই। এ বিষয়ে এক্সিকিউটিভ কমিটিতে কোনো আলোচনা হয়নি। বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। এ নিয়ে যথেষ্ট আলোচনা ও পদক্ষেপের প্রয়োজন আছে। ক্লাবের সদস্য, সমর্থকদের আবেগকে সর্বাধিক অগ্রাধিকার দেওয়া তখনও প্রয়োজন ছিল, এখনও প্রয়োজন।' মঙ্গলবার ফেসবুকে ফের বিবৃতি দিয়ে নিজের অবস্থান আরও পরিষ্কার করেন কুণাল। আন্দোলনের দাবি ন্যায্য হলেও, পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি।