টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এমন অনেক রেকর্ড তৈরি হচ্ছে। কিন্তু এমন কিছু অবাঞ্ছিত রেকর্ডও তৈরি হয়, যেটা দেখে লজ্জা লাগে। ২০ ওভারের এই খেলায় অনেক সময় এত রান হয় রেকর্ড ভাঙারান হয়। কিন্তু কখনও কখনও দলগুলি খুব কম স্কোর নিয়ে শেষ হয়। বুধবার ৮ মে জাপান ও মঙ্গোলিয়ার মধ্যে খেলা হয়েছিল। এই ম্যাচটি সানো আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে জাপান দল টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়ে ২১৭ রান করে।
দ্বিতীয় সর্বনিম্ন স্কোরের রেকর্ড মঙ্গোলিয়ার
এর জবাবে মাত্র ১২ রানে গুটিয়ে যায় পুরো মঙ্গোলিয়ান দল। খাতাও খুলতে পারেননি দলের ৭ ব্যাটসম্যান। ভাবে জাপান এই ম্যাচে ২০৫ রানে জিতেছে। মঙ্গোলিয়ার করা ১২ রান টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ইতিহাসে যেকোনো দলের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন স্কোর। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ইতিহাসে সবচেয়ে কম স্কোরের রেকর্ড আইল অফ ম্যান দলের, স্পেনের বিরুদ্ধে মাত্র ১০ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল। ২০২৩ সালে এই রেকর্ড হয়। এবার দ্বিতীয় সর্বনিম্ন স্কোর মঙ্গোলিয়ার।
এমনই ছিল মঙ্গোলিয়ার ইনিংস
মঙ্গোলিয়ার দুই ওপেনার মোহন বিবেকানন্দন এবং নামসারাই শূন্য এবং ২ রান করে আউট হন। এরপর ব্যাটসম্যানরা আসতে থাকেন আর যেতে থাকেন। ০ রানেই ফিরেছেন ৭ ব্যাটার। এর মধ্যে ৬ জন গোল্ডেন ডাক। ১ জন অপরাজিত। এই ব্যাটসম্যানদের এক রান করতেও হিমশিম খেতে হয়েছে। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪ রান করা ব্যাটসম্যানের নাম তুম সুম্যা। মঙ্গোলিয়ার দুর্বল ব্যাটিংয়ের ফলে ৪ ওভার ২ বলেই শেষ হয়ে যায় ইনিংস।
ক্যাটো স্ট্যাফোর্ড অর্ধেক দলকে নিশ্চিহ্ন করে দেন
জাপানের ফাস্ট বোলার কাজুমা ক্যাটো-স্টাফোর্ড মঙ্গোলিয়ার অর্ধেক দলকে একাই আউট করেন। ৩.২ ওভারে ৭ রান দিয়ে মোট ৫ উইকেট নেন তিনি। এ ছাড়া আব্দুল সামাদ ও মাকোতো ২টি করে উইকেট নেন এবং বেঞ্জামিন ১টি উইকেট পান। অন্যদিকে, জাপানের ইনিংসে সবাউরিশ রবিচন্দ্রন ৩৯ বলে ৬৯ রান করেন। ৬টি চার ও ৪টি ছক্কা হাঁকান তিনি। এ ছাড়া অধিনায়ক কেন্ডাল কাদো, ওয়াকি ফ্লেমিং ৩২ রান করেন, ইব্রাহিম তাকাহাশি ৩১ রান করেন। মঙ্গোলিয়ার হয়ে জোজাভখলান শুরেন্টসেটসেগ ৩ উইকেট নেন।