কলকাতা লিগে ডায়মন্ড হারবার এফসিকে ২-০ গোলে হারিয়ে খেতাবের আরও কাছে চলে এল মহমেডান স্পোর্টিং ক্লাব। এই জয়ের ফলে কলকাতা লিগের মিনি ডার্বিতে জিতলেই খেতাব কার্যত নিশ্চিত সাদা-কালো ব্রিগেডের। মহমেডানের হয়ে এদিন গোল দুটি করেন আঙ্গুসানা এবং ডেভিড।
ম্যা চের শুরুতেই আক্রমণে ঝাঁপায় দু'দল। দু'দলই কয়েকবার ভালোভাবে আক্রমণে ওঠে। শুরুতেই ডায়মন্ড হারবারের বক্সে উঠে আসেন বিকাশ সিং। সাত মিনিটের মাথায় বক্সের বাইরে থেকে শট নেন DHFC'র সুপ্রিয়। তারইমধ্যে নয় মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে ফ্রি-কিক DHFC। বিপজ্জনক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। তবে বিপদ হয়নি। সাদা-কালো ব্রিগেডের ডিফেন্সের উপর চাপ বাড়ায় ডায়মন্ড হারবার এফসি। বক্সের বাইরে থেকে ডিফেন্স চেরা পাস রাহুলের। গোললাইন ছেড়ে বেরিয়ে স্লাইড করে বল ক্লিয়ার করে দেন মহামেডানের পদম ছেত্রী। ম্যা চের প্রথমার্ধে একাধিক আক্রমণে গেলেও গোলের দরজা খুলতে ব্যির্থ হয় দু'দলই।
দ্বিতীয়ার্ধেও চলে আক্রমণ প্রতি আক্রমণের লড়াই।ম্যা চের ৬০ মিনিটে ১-০ এগিয়ে যায় সাদা-কালো ব্রিগেড। আঙ্গুসানার গোলে এগিয়ে যায় মহমেডানস্পোর্টিং ক্লাব। ডায়মন্ড হারবারের রক্ষণের কিছুটা ভুল। ডায়মন্ডের বক্সের সামনে থেকে বিকাশ ডানদিকে বলটা বাড়ান স্যামুয়েলকে পাশ। স্যামুয়েলের ইনুসইঙ্গিং ক্রস। স্লাইড করে গোল করে বেরিয়ে গেলেন আঙ্গুসানা। ১-০ গোলে এগিয়ে যায় মহামেডান।
কোনও মার্কিং করা হয়নি আঙ্গুসানাকে। DHFC'র গোলকিপারের কিছু করার ছিল না। গোল খেয়ে পাল্টা আক্রমণে যায় ডায়মন্ড হারবার এফসি। ৭৬ মিনিটে একটা ভালো সুযোগ পেয়ে যায় ডায়মন্ড। বাঁ-দিক থেকে ক্রস। পদম ছেত্রীর সামনে বলটা পড়ে। ঠিকমতো শট নিতে পারেননি DHFC'র খেলোয়াড়। ম্যা চের ৮৪ মিনিট সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া শেখ ফৈয়াজের। গোলের একেবারে সামনে থেকে গোল মিস করেন। ডায়মন্ড হারবারের ডিফেন্সের ভুলে সুযোগ পেয়ে যায় মহামেডান। কিন্তু একেবারে সামনে থেকে গোল ফস্কে দিলেন ফৈয়াজ। এরপর ম্যা চের একেবারে শেষ মুহূর্তে পেনাল্টি পায় মহামেডান। সেই সুযোগকে কাজে লাগাতে এতটুকু ভুল কররেননি ডেভিড। পেনাল্টি থেকে গোল করে সাদা-কালো ব্রিগেডকে ২-০ এগিয়ে দেন তিনি।