মোহনবাগানে (Mohun Bagan) যোগ দিলেন আনোয়ার আলি (Anwar Ali)। এই মরশুমে আরও এক তারকা যোগ দিলেন সবুজ-মেরুন ক্লাবে। ভারতীয় যুব দলের হয়ে আর্জেন্টিনার বিরুদ্ধে গোল করে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন এই যুব ফুটবলার। এবার মোহনবাগান জার্সিতে দেখা যাবে এই সেন্ট্রাল ডিফেন্ডারকে।
পাঁচ বছরের চুক্তি করে ফেলছে মোহনবাগান। এফসি গোয়ার (FC Goa) প্রাক্তন এই ডিফেন্ডারকে অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশন (AIFF) ২০১৯ সালে প্রতিযোগিতামূলক ফুটবল খেলা থেকে আটকে দেয়। শারীরিক সমস্যার কারণে তাঁর খেলা বন্ধ হয়ে যেতে বসে।
হৃদরোগ রোগে আক্রান্ত হন
তখন তিনি অ্যাপিক্যাল হাইপারকার্ডিওমায়োপ্যাথি,নামের একটি বিরল হৃদরোগ রোগে আক্রান্ত হন। পায়ে ফুটবল ফিরে পেতে কঠিন লড়াই করতে হয় ভারতের বিশ্বকাপারকে। এমনকি AIFF-এর থেকে খেলার ছাড়পত্র পাওয়ার জন্য আদালতেও যেতে হয়েছিল। তবুও তিনি হাল ছাড়েননি। এফসি গোয়ার হয়ে খেলার আগে দিল্লি এফসিতে খেলেছেন আনোয়ার। ডিফেন্ডার হলেও গোল করার দক্ষতা রয়েছে তাঁর। এই মরশুমে মোহনবাগানও তাঁর গোলেই এফসি গোয়ার কাছে হেরে গিয়েছে।
মোহনবাগানে আনোয়ারের তিন লক্ষ্য
মোহনবাগানে সই করে আনোয়ার বলেন, ‘ভারতের সমস্ত ফুটবলারেরই স্বপ্ন থাকে কলকাতায় খেলার। আর মোহনবাগান ভারতের সবচেয়ে পুরনো ক্লাব। কত কিংবদন্তি খেলে গিয়েছেন এই ক্লাবে। সবুজ-মেরুন জার্সিতে নামব ভেবেই রোমাঞ্চিত হচ্ছি।‘
তিনটি লক্ষ্য নিয়ে মোহনবগানে খেলেতে এসেছেন আনোয়ার। সবুজ-মেরুনের নয়া তারকা বলেন, ‘মোহনবাগানে আমার তিনটি লক্ষ্য রয়েছে। প্রথমত, জীবনের প্রথম ডার্বি খেলব। যা আমার দীর্ঘদিনের স্বপ্ন। ডার্বি জিতে সমর্থকদের আবেগ ও উচ্ছ্বাসকে সম্মান জানাতে চাই। দ্বিতীয়ত, আমি জাতীয় দলের হয়ে কাপ জিতলেও আইএসএল জেতার স্বাদ পাইনি। মোহনবাগান যে ধরনের দল গড়েছে, তাতে আবারও আইএসএল জেতা সম্ভব। তৃতীয়ত, মোহনবাগান দেশের সেরা ক্লাব। শুধু ভারত সেরা হওয়া নয়, আন্তর্জাতিক মঞ্চে সবুজ-মেরুন ক্লাবকে প্রতিষ্ঠা করাই লক্ষ্য। এবারে এএফসি কাপে সেটাই চেষ্টা করব।‘
গোল করার দক্ষতা রয়েছে আনোয়ারের
মোহনবাগান আসন্ন মরশুমগুলির জন্য দীর্ঘমেয়াদী পদক্ষেপ নিচ্ছে। এই মরশুমে,আনোয়ার আলি এফসি গোয়ার হয়ে ১৪টি ম্যাচ খেলেছেন। একটি গোল রয়েছে তাঁর। গোল করার পাশাপাশি দুটো অ্যাসিস্টও রয়েছে তাঁর। আনয়ারকে দলে নিতে মোট ১০ কোটি টাকা খরচ করতে হচ্ছে মোহনবাগানকে। যার মধ্যে রয়েছে ট্রান্সফার ফিও।