মোহনবাগানকে হারিয়ে কলকাতা লিগ জয়ের হ্যাটট্রিক গড়েছে মহমেডান স্পোর্টিং। মহমেডানের কাছে ০-২ গোলে হেরে গেলেও বেশ উচ্ছ্বসিত সবুজ-মেরুন সমর্থকরা। ১৯৭৫ সালের আজকের দিনেই ইস্টবেঙ্গলের কাছে ৫-০ গোলে হারতে হয়েছিল মোহনবাগানকে। আজকেও একই ঘটনা ঘটতে পারত তাও প্রথমার্ধেই। সেই লজ্জা থেকে বেঁচে যাওয়াতেই কি এই উচ্ছ্বাস?
কেন হেরেও আনন্দিত মোহনবাগান সমর্থকরা?
ময়দানে একটা কথা শোনা যায়, মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গল বা মহমেডান নামে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লক্ষ্যে। তবে বাস্তব রায়ের দলকে দেখে একবারও তা মনে হয়নি। আসলে এই ম্যাচে মোহনবাগান ড্র করলে বা জিততে পারলে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ইস্টবেঙ্গলের সামনে লিগ জেতার রাস্তা খুলে যেত। হেরে সেটাই আটকানো গেছে। আর তাতেই খুশি সবুজ-মেরুন সমর্থকরা। কিন্তু ভালো ফুটবল? লিস্টন কোলাসো, শুভাশিস বসুরা আইএসএল-এ যতটাই উজ্জ্বল, ততটাই যেন ফ্যাকাশে তাদের রিজার্ভ দল। শুধু তো ট্রফি জেতা বা হারা নয়, মোহনবাগানের জার্সি পরে নেমে ফরদিন আলি মোল্লারা যে ফুটবল খেললেন তাতে
জার্সির মানটা থাকল তো?
কলকাতা লিগে মোহনবাগান ডিফেন্স নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বহুবার। আর শুক্রবার যতবার রেমসাঙ্গা, ডেভিডরা মোহনবাগান গোলের কাছে পৌঁছে গিয়েছেন ততবারই কাঁপতে শুরু করেছে দীপক টাংরিদের ডিফেন্স। বারে বল লেগেছে, গোল লাইন সেভ হয়েছে, প্রথমার্ধেই বার কয়েক সহজ সুযোগ নষ্ট হয়েছে। আর নয়ত ফিরে আসতেই পারত ৪৮ বছর আগের স্মৃতি। সেবার ইস্টবেঙ্গলের কাছে ৫ গোল খাওয়ার স্মৃতি আজও বেশ যন্ত্রণা দেয় সমর্থকদের। আজও তেমনটাই হতে পারত!
ম্যাচের ১৩ মিনিটে গোল করেন রেমসাঙ্গা। কর্নার থেকে ব্যাক হেডে গোল। মোহনবাগানের ডিফেন্স তখন দর্শকের ভূমিকায়। ব্যবধান বাড়ে ৩৭ মিনিটে। মহমেডানের ম্যাচ, আর গোল পাবেন না ডেভিড তা হয় নাকি? এদিনও গোল করে গেলেন তিনি। কলকাতা লিগ জয়ের হ্যাটট্রিক করার জন্য পাঁচ লক্ষ টাকা পুরস্কার পাচ্ছেন সামাদ আলি মল্লিকরা। আর মোহনবাগান সমর্থকরা পাচ্ছেন নিজেদের নাক কেটে ইস্টবেঙ্গলের যাত্রা ভঙ্গ করার আনন্দ।