ভারতীয় দলের হয়ে টেস্ট সিরিজের শেষ ম্যাচে প্রথম ইনিংসে বিরাট চাপের মধ্যেও ১৪৬ রানের ইনিংস খেলেছিলেন ঋষভ পন্ত। দ্বিতীয় ইনিংসেও ৫৭ রানের ইনিংস খেলেন। সেই ম্যাচে ভারত ৭ উইকেটে হেরে গেলেও পন্তের লড়াই চলতে থাকে। এরপর দ্বিতীয় টি২০ ম্যাচে ১৫ বলে ২৬ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। সেই ম্যাচে ভারত ৪৯ রানে জিতে যায়। তৃতীয় টি২০ ম্যাচে ৫ বলে ১ রান করে আউট হন। দ্বিতীয় একদিনের সিরিজে ০ রানে আউট হন তিনি। তবে তৃতীয় একদিনের ম্যাচে ফের দল বিপদে পড়তেই হাল ধরেন ভারতের উইকেটকিপার ব্যটার। ১০০ করাই শুধুই নয়, ১২৫ রানের ইনিংসে অপরাজিত থেকে ভারতকে ম্যাচ জেতান তিনি।
তবে শুরুর দিকে এত ভাল ছন্দে ছিলেন না পন্ত। বারবার ব্যর্থ হন তিনি। তবুও তাঁর উপরে আস্থা রেখেছিলেন বিসিসিআই কর্তারা। গাব্বায় তার প্রতিদান দেন পন্ত। দ্বিতীয় ইনিংসে ১৩৮ বলে ৮৯ রানের ইনিংস খেলে ভারতকে জয় এনে দেন তিনি। ৩ উইকেটে জিতে সিরিজ যেতে ভারত। বারবার বাজে শট খেলে আউট হতে থাকা পন্তকে নিয়ে যখন সকলে সমালোচনায় মুখর ঠিক সেই সময় সমালোচকদের চুপ করিয়ে দেওয়া ইনিংস খেলা প্রায় অভ্যাসে পরিনত করে ফেলেছেন পন্ত।
আরও পড়ুন: শাস্ত্রীর হাতে শ্যাম্পেন তুলে দিলেন পন্ত, 'গুরুদক্ষিণা'? VIDEO VIRAL
রবিবারও দেখা গেল একই দৃশ্য। টপলে যখন একের পর উইকেট নিয়ে ভারতের টপ অর্ডার ধসিয়ে দিচ্ছেন তখনই রুখে দাঁড়ান পন্ত। হার্দিক পান্ডিয়ার সঙ্গে সিঙ্গল, ডাবলসে ভারতের রান এগিয়ে নিয়ে যান তাঁরা। হার্দিকের বেশ কিছু স্ট্রেট ড্রাইভ মনে রাখার মত। সঙ্গে পন্তের দায়িত্ব নিয়ে দলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। অক্রিকেটীয় শট খেলে নিজের উইকেট ছুড়ে দেওয়া নয়, ধীরে ধীরে নিজের ইনিংস গোছাতে থাকেন ভারতের উইকেটকিপার ব্যাটার। একবার মঈন আলির বলে স্টাম্প হয়ে যেতে পারতেন ঋষভ। স্টেপ আউট করে বড় শট খেলতে গিয়েছিলেন পন্ত। তবে বল টার্ন করায় তা ঋষভের পাশাপাশি জস বাটলারের নাগাল এড়িয়ে চলে যায়। এ ছাড়া সে ভাবে ইংল্যান্ডকে সুযোগ দেননি তিনি। লম্বা কাঁধের টপলের বল দেখে খেলেছেন। বাজে বল পেলেই তার ঠিকানা হয়েছে বাউন্ডারির বাইরে।
আরও পড়ুন: মা হলেন শারাপোভা, শেয়ার করলেন ছেলের ছবি-নাম, PHOTOS
উইকেটের উল্টো দিক থেকে ক্রমাগত নির্দেশ দিয়ে গিয়েছেন হার্দিকও। পান্ডিয়া আউট হওয়ার পর জাদেজাকে আগলে রেখেছেন। শেষ শটটাও দেখার মত। সেট হয়ে রিভার্স সুইপে চার মেরে দলকে ম্যাচ জিতিয়েছেন পন্ত। আইপিএল-এ দিল্লি ক্যাপিটালসের হয়ে খুব ভাল পারফর্ম করতে না পারলেও ইংল্যান্ড সিরিজে দারুণ ভাবে ফিরে আসেন তিনি। স্বাভাবিক ভাবেই সিরিজের সেরা নির্বাচিত হন পন্ত।