জয় দিয়ে টি২০ বিশ্বকাপের অভিযান শুরু করল টিম ইন্ডিয়া। জয়ের নায়ক বিরাট কোহলি। তবে আরও একজনের কথা না বললেই নয়! তিনি হার্দিক পান্ডিয়া। গত আইপিএল থেকে যাঁর সুসময় শুরু হয়েছে।
হার্দিক প্রথমে হাত ঘুরিয়ে ৩ উইকেট নেন। এরপর ৩১ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে যখন টিম ইন্ডিয়া ধুঁকছে তখন হাল ধরেন পান্ডিয়া।
হার্দিক পান্ডিয়া এবং বিরাট কোহলির সেঞ্চুরি পার্টনারশিপের সৌজন্য নাটকীয়ভাবে জিতেছে রোহিতের দল। পঞ্চম উইকেটে জুটিতে ওঠে ১১৩ রান। জয়ের পর আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন হার্দিক পান্ডিয়া। স্মরণ করেন প্রয়াত বাবাকে। বাবা তাঁর ক্রিকেটজীবনে অনেকখানি জুড়ে ছিলেন। পান্ডিয়া ভাইদের উত্থানের নেপথ্যে রয়েছেন তিনি।
একটা চোটে জর্জরিত হার্দিক ভারতীয় টিম থেকে ছিটকে গিয়েছিলেন। হারিয়েছিলেন নিজের জায়গা। সে কথা মনে করে এ দিন তিনি বলেন,'আমি ম্যাচের আগে রাহুল স্যারকে বলেছিলাম যে আমি ১০ মাস আগে কোথায় ছিলাম এবং এখন কোথায় আছি সেটাই বড় ব্যাপার। আমি এ দিনটার জন্য খেটেছি। এই ইনিংসটা আমার বাবার জন্য। তিনি থাকলে খুব খুশি হতেন। খেলার সুযোগ না পেলে এখানে দাঁড়াতাম কীভাবে? আমার বাবা অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছেন। তাঁরা আমাদের জন্য অন্য শহরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমরা দুই ভাইয়ের বয়স যখন ৬ বছর, তিনি অন্য শহরে নিয়ে গিয়েছেন। সারাজীবন বাবার কাছে কৃতজ্ঞ থাকব।'
হার্দিক যোগ করেন,'বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচ, তা-ও আবার পাকিস্তানের বিরুদ্ধে,স্বাভাবিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছিল। ছেলেরা অনেক দিন ধরে খাটছে। আমরা এক সঙ্গে হারব। এক সঙ্গে জিতব। আমি আর বিরাট কোহলি হয়তো সেরাটা দিয়েছি। জয়ে সবার অবদান। আর্শদীপ, শামি, ভুবনেশ্বরের বোলিং অসাধারণ ছিল। এমনকি সূর্যের বাউন্ডারিটাও।
বলে রাখি, গত বছর জানুয়ারিতে হার্দিকের বাবা হিমাংশু পান্ডিয়া মারা যান। হার্দিক এবং ক্রুনালের ক্রিকেটার হওয়ার নেপথ্যে রয়েছে হিমাংশুর হাত। ছেলেদের ক্রিকেটের কথা ভেবে ব্যবসা ছেড়ে অন্য শহরে গিয়েছিলেন। যাতে দুই সন্তানকে সেরা সুবিধা দিতে পারেন।
আরও পড়ুন- হাফ সেঞ্চুরি করেও তুলে রাখলেন সেলিব্রেশন, কোহলির মহাকাব্যে দলই আপন