scorecardresearch
 

Wrestlers Protest: 'ভগবান চাইছেন, আমি বড় কিছু করি,' কুস্তিগীরদের আন্দোলনে মুখ খুললেন ব্রিজভূষণ

রেসলিং ফেডারেশনের সভাপতি ও বিজেপি সাংসদ ব্রিজভূষণ শরণ সিং আবারও কুস্তিগীরদের অভিযোগের পাল্টা জবাব দিলেন। ব্রিজভূষণ সিং বলেন, ঈশ্বর চান আমি কিছু বড় কাজ করি, সে কারণেই আমার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ করা হয়েছে।

Advertisement
'ভগবান চাইছেন, আমি বড় কিছু করি,' কুস্তিগীরদের আন্দোলনে মুখ খুললেন ব্রিজভূষণ 'ভগবান চাইছেন, আমি বড় কিছু করি,' কুস্তিগীরদের আন্দোলনে মুখ খুললেন ব্রিজভূষণ
হাইলাইটস
  • বিজেপি সাংসদ আবারও বলেছেন যে আমার বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ প্রমাণিত হলে আমাকে ফাঁসি দেওয়া হবে
  • সমস্ত কুস্তিগীর ব্রিজভূষণ সিংয়ের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমেছেন

রেসলিং ফেডারেশনের সভাপতি ও বিজেপি সাংসদ ব্রিজভূষণ শরণ সিং আবারও কুস্তিগীরদের অভিযোগের পাল্টা জবাব দিলেন। ব্রিজভূষণ সিং বলেন, ঈশ্বর চান আমি কিছু বড় কাজ করি, সে কারণেই আমার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, বিজেপি সাংসদ আবারও বলেছেন যে আমার বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ প্রমাণিত হলে আমাকে ফাঁসি দেওয়া হবে। ব্রিজভূষণ শরণ সিং বলেন, যেহেতু আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, আমি জিজ্ঞাসা করছি কখন কোথায় ঘটেছে। আমরা অযোধ্যা থেকে এসেছি, যেখানে জীবন যায়, কথা যায় না। চার মাস কেটে গেছে অভিযোগের। আমি আজও বলছি, একটা অভিযোগও প্রমাণিত হলে আমার ফাঁসি হবে। আমি এখনও সেই কথাতেই স্থির আছি। বিজেপি সাংসদ আরও বলেছেন যে কুস্তিগীররা পদকের অজুহাত দিচ্ছেন। গঙ্গায় পদক ফেলে কিছুই হবে না। এটি একটি আবেগঘন নাটক মাত্র। প্রমাণ থাকলে পুলিশে দিন। আদালত আমাকে ফাঁসি দেবে।

কলিযুগে যে কোনও কিছু ঘটতে পারে

ব্রিজভূষণ ব্রিজভূষণ বলেন, 'কবির দাস বলেছিলেন এটা তো কলিযুগ, যে কোনও কিছু হতে পারে, তাই যুদ্ধ করলাম। তিনি বলেন, রাম যদি নির্বাসনে না থাকতেন তাহলে ইতিহাস কীভাবে তৈরি হতো? কৃতিত্ব দেওয়া উচিত কৈকই এবং মন্থরাকে। তিনি বলেন, আমি এই খেলোয়াড়দের ঘৃণা করি না, তাঁরা আমার সন্তান। তাঁদের সাফল্যে আমার হাত আছে। ১০ দিন আগে পর্যন্ত আমাকে সাফল্যের ঈশ্বর বলা হত। যে দল ১৮ নম্বরে ছিল, আমার আমলে সেই দলটিই শীর্ষ পাঁচে এসেছিল। অলিম্পিকে ৭টি পদকের মধ্যে ৫টিই কুস্তিতে এসেছিল আমার আমলে। এখন আমাকে কিছু বড় কাজ করতে হবে, তাই ২৮ তারিখে সাধুদের বড় অনুষ্ঠান আছে। যে পাপ করে সে শুধু পাপীই নয়, যে চুপ থাকে, সেও শরিক।'

আরও পড়ুন

Advertisement

৮৫ শতাংশ হরিয়ানা আমার সঙ্গে

ব্রজভূষণ বলেন, 'ইন্দিরা গান্ধী যখন জরুরি অবস্থা জারি করেছিলেন, কংগ্রেস ছাড়া সবাই জেলে গিয়েছিল, আমিও গিয়েছিলাম। এখন ৬০ বছর পর এই সমর্থন পাচ্ছি, আর কেউ পায়নি। যদি আমার নামে ক্ষত্রিয়রা দাঁড়ায়, তবে ব্রাহ্মণ, তেলি, রাখাল, মুসলমান, জাঠরাও আমার সঙ্গে আছে। হরিয়ানার ৮৫ শতাংশ মানুষ আমার সঙ্গে আছে। এমন কোনও প্রদেশ নেই যেখান থেকে আমি সমর্থন পাইনি, উপর থেকে কেউ কাজ নিতে যাচ্ছে, যা সাধুরা বলবেন।

ব্রিজভূষণ সিংয়ের এই বক্তব্য এমন সময়ে এসেছে যখন কুস্তিগীররা মঙ্গলবার ঘোষণা করেছিলেন গঙ্গায় তাঁদের ভাসিয়ে দেবেন। বজরং পুনিয়া, ভিনেশ ফোগাট এবং সাক্ষী মালিক সহ তাঁদের সমর্থকরা মঙ্গলবার সন্ধ্যায় হরিদ্বারে পৌঁছে যান। তবে কৃষক নেতা নরেশ টিকাইতের বোঝানোর পর তাঁরা গঙ্গায় পদক না ফেলার সিদ্ধান্ত নেন। পাশাপাশি সরকারকে ৫ দিনের আলটিমেটামও দিয়েছেন নরেশ টিকাইত। টিকাইত বৃহস্পতিবার মুজাফফরনগরে মহাপঞ্চায়েতও ঘোষণা করেছেন।

২৩ এপ্রিল থেকে কুস্তিগীররা আন্দোলনে

ভিনেশ ফোগাট, সাক্ষী মালিক এবং বজরং পুনিয়া সহ সমস্ত কুস্তিগীর ২৩ এপ্রিল থেকে ব্রিজভূষণ সিংয়ের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমেছেন। এর আগে ১৮ জানুয়ারি কুস্তিগীররা ব্রিজভূষণ শরণ সিংয়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছিলেন। ব্রিজ ভূষণের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ তুলেছেন রেসলাররা। সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপে দিল্লি পুলিশ সিংয়ের বিরুদ্ধে দুটি মামলাও দায়ের করেছে। ২৮ মে কুস্তিগীররা যন্তর মন্তর থেকে নতুন সংসদ ভবন পর্যন্ত পদযাত্রার কর্মসূচি নিয়েছিলেন। শুধু তাই নয়, মহিলা মহাপঞ্চায়েতও ডেকেছিলেন কুস্তিগীররা। তবে ওদিন নতুন সংসদের উদ্বোধন হওয়ার কথা ছিল। এমন পরিস্থিতিতে মহিলাদের মিছিল করতে দেয়নি দিল্লি পুলিশ। পাশাপাশি যন্তর মন্তরে প্রচুর নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করে ব্যারিকেডিং করা হয়েছে। রবিবার, নতুন সংসদ ভবন থেকে তিন কিলোমিটার দূরে যন্তর মন্তর থেকে কুস্তিগীররা তাঁদের পদযাত্রা শুরু করলে পুলিশ তাঁদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে। এই সময়, কুস্তিগীররা নিরাপত্তা কর্ডন ভেঙে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এর পর বিক্ষোভকারী ও পুলিশের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি ও ধস্তাধস্তি হয়।

 

Advertisement