পানীয় জল রাজ্যের গ্রামে গ্রামে পৌঁছে দিতে প্রশাসনিক বৈঠক করেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে তিনি কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন দফতরের বিরুদ্ধে জল আটকে রাখার অভিযোগ করেন। রীতিমতো ডেটা দিয়ে তিনি এই দাবি জানান। রেল থেকে ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশন তাঁর আক্রমণের মুখে পড়ে। বিশেষ করে তিনি ডিভিসিকে নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। আমজনতার এই ভোগান্তির জন্য কেন্দ্র ও ডিভিসিকে দায়ী করে মমতা। তবে প্রশাসনের অন্দরেও যে কিছু গাফিলতি রয়েছে তা মেনে নিয়েই অ্যাকশন নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়ে রাখলেন।
কী বললেন মমতা?
"ডিভিসি শুধু বন্যার জল ছাড়ে, অথচ খাওয়ার জল দেয় না। অপদার্থ বলা যায়। সবচেয়ে বেশি ৩ লক্ষ ৯৪ হাজার ৯৪৭টি পরিবারকে জল দিচ্ছে না। তার মানে ২০ লক্ষ লোক জল পাচ্ছে না। বন্যার জল ছেড়ে দিয়ে বাংলাকে ডুবিয়ে দিচ্ছে। যদি জল না দেয়, তাহলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"
সোমবার বিধানসভায় জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দফতরের সঙ্গে বৈঠকে বসেন মুখ্যমন্ত্রী। ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী ও কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম, মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ, স্বরাষ্ট্রসচিব নন্দিনী চক্রবর্তী-সহ একাধিক সচিব পর্যায়ের আধিকারিকরা। সেখানেই কোন অঞ্চলের জল সরাবরাহ পরিষেবায় কী সমস্যা, তা নিয়ে আলোচনা হয়। মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, “ডিভিসির জন্য ২০ লক্ষ মানুষ জল পাচ্ছে না।” এমনকী, জলজীবন প্রকল্পেও কেন্দ্র বাংলাকে বঞ্চনা করছে বলে দাবি করেন। বলেন, “ভোটের সময় বলে কেন্দ্র বলে ঘরে ঘরে জল দিচ্ছে। আসলে এই প্রকল্পে কেন্দ্র ১০ শতাংশ দেয় আর রাজ্য দেয় ৯০ শতাংশ টাকা।”
তবে শুধু কেন্দ্র নয়, প্রশাসনের অন্দরেও কিছু ‘জল’ রয়েছে বলে মত মুখ্যমন্ত্রীর। তাঁর কথায়, “সয়েল টেস্ট না করেই টেন্ডার দেওয়া হচ্ছে। তাদের কালো তালিকাভুক্ত করা হোক।” মুখ্যমন্ত্রীর স্পষ্ট হুঁশিয়ারি, কোনওরকম গাফিলতির খবর পেলেই “যথাযথ অ্যাকশন নেব।”