Ishan Kishan Hundred: গত বছর অর্থাৎ ২০২৩-এ ভারতীয় দলের তারকা উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান ইশান কিশানের জন্য মোটেও ভালো ছিল না। ক্রিকেট থেকে বিরতি নিয়েছিলেন। এরপর বিসিসিআই তাকে দল থেকে বাদ দেয় এবং চলতি বছরের শুরুতে কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকেও তাকে সরিয়ে দেয়। এর পর নানা ধরনের তথ্য সামনে আসতে থাকে। কতটা সত্যি, কতটা মিথ্যে তা অবশ্য প্রমাণ হয়নি। শেষমেষ মুখ খুলেছিলেন ইশান।
যদিও ইশান কিশান ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) ২০২৪-এ প্রত্যাবর্তন করেছিলেন, তিনি নির্বাচকদের মধ্যে ছাপ রাখতে পারেননি। এই কারণেই ২০২৪ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্যও ঈশানকে দলে নেওয়া হয়নি।
ফেরার সঙ্গে সঙ্গেই প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরি করেন
ইশান দাপট দেখিয়ে খেললেন আগুনে ইনিংস। আশা করা হচ্ছে যে তিনি তার এই ইনিংসে ভর করেই নির্বাচকদের সন্তুষ্ট করতে পারবেন। প্রকৃতপক্ষে, ইশান কিষাণ, যিনি ইনজুরির কারণে দলীপ ট্রফির প্রথম রাউন্ড থেকে বাদ পড়েছিলেন, ১২ সেপ্টেম্বর ভারত সি-এর প্লেয়িং ইলেভেনে অন্তর্ভুক্ত হন।
এদিন ঈশান কিষাণকে পুরো মুডে ব্যাটিং দেখা গিয়েছে। ১২০ বলে ১০২ রানের দুর্দান্ত সেঞ্চুরি ইনিংস খেলেন ইশান। এই ইনিংসে ছিল ১৪টি চার ও ২টি ছক্কা। সেঞ্চুরি পূর্ণ করার কিছুক্ষণের মধ্যেই ঈশান কিষাণ আউট হয়ে যান। তিনি শেষমেষ ১১১ (১২৬) রান করে মুকেশ কুমারের বলে ক্লিন বোল্ড হন।
এই ইনিংসের ভিত্তিতেই বাংলাদেশের বিপক্ষে ঘরের মাঠে টি-টোয়েন্টি সিরিজের দাবিদার ইশান। এখন নির্বাচকরা ইশানকে উপেক্ষা করতে পারবেন বলে মনে হয় না। আমরা আপনাকে বলি যে ভারতীয় সি দলে ঈশান কিশানের অন্তর্ভুক্তি নিয়ে অনেকেই অবাক হয়েছিলেন, কারণ দ্বিতীয় রাউন্ডের দলের তালিকা প্রকাশের সময় তাঁর নাম ছিল না।
মিডিয়া রিলিজে বলা হয়েছিল, ভারত সি দলে কোনো পরিবর্তন হবে না। ইশান আগে ইন্ডিয়া ডি টিমের অংশ ছিলেন। দলীপ ট্রফিতে কিষাণকে অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়ে বিসিসিআই কোনও ব্যাখ্যা দেয়নি। এই বছরের শুরুতে, শ্রেয়াস আইয়ারের সঙ্গে বিসিসিআই চুক্তির তালিকা থেকে বাদ পড়েছিলেন ইশান কিশান। জাতীয় দলে না খেলেও ঘরোয়া ক্রিকেট খেলার বিসিসিআই-এর নির্দেশ না মানায় তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
ইশান কিষাণ ২০২৩ সালের ডিসেম্বর থেকে বাইরে আছেন
ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে গত বছরের ডিসেম্বরে দক্ষিণ আফ্রিকায় টেস্ট সিরিজ থেকে নাম প্রত্যাহার করে নেন ইশান। এরপর থেকে তিনি ভারতীয় কোনো দলে নির্বাচিত হননি। গত মাসে, কিশান বুচিবাবু টুর্নামেন্টে ঝাড়খণ্ডের অধিনায়ক হিসাবে ঘরোয়া ক্রিকেটে প্রত্যাবর্তন করেছিলেন, কিন্তু তার অংশগ্রহণ দুটি ম্যাচের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। কারণ তার দল লিগ পর্বের বাইরে এগোতে পারেনি।