'১৪৪ ধারা কী? শুভেন্দু অধিকারী জানেন না! শুভেন্দু এইটুকু সাইজের ছেলে, সবে জন্মেছে তো, জীবনে প্রথম ১৪৪ শুনল।' সন্দেশখালিতে বিরোধী দলনেতার ১৪৪ ধারার প্রত্যাহারের দাবির প্রেক্ষিতে এভাবেই কটাক্ষ করলেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তাঁর দাবি, সন্দেশখালিতে প্ররোচনা দিয়েছে বিরোধীরা। কিছুটা প্ররোচনা ও কিছুটা ক্ষোভে গোলমাল হয়েছে। পুলিশ মানবিক ব্যবহার করেছে।
শনিবার সন্দেশখালির হিংসা নিয়ে রাজভবনে গিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী-সহ বিরোধী বিধায়করা। কিন্তু রাজ্যপাল কেরলে থাকায় দেখা হয়নি। বেরিয়ে এসে শুভেন্দু জানান,'সন্দেশখালিতে অবিলম্বে ১৪৪ ধারার প্রত্যাহার করতে হবে। ইন্টারনেট চালু করুন। কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করুন।' যার প্রেক্ষিতে কুণাল বলেন,'শুভেন্দু অধিকারী প্ররোচনা দিতে চাইছেন। গণ্ডগোল করাতে চাইছেন। সন্দেশখালির পরিস্থিতি ক্রমশ নিয়ন্ত্রণে আসছে। নতুন করে আর কোনও ঘটনা ঘটেনি। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আর কী ব্যবস্থা নেবে প্রশাসন? শকুনের রাজনীতি করে সিপিএম, বিজেপি। একটা বিক্ষোভ হয়েছে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে, শান্তিপূর্ণ। প্ররোচনা ও ক্ষোভে গোলমাল হয়েছে। মানবিক মুখ নিয়ে গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলেছে পুলিশ।'
সন্দেশখালির হিংসার সঙ্গে নন্দীগ্রামের তুলনা টেনেছেন শুভেন্দু। কুণালের মন্তব্য,'গুজব রটানো হয়েছে। মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে। তাতেও কোনও প্ররোচনায় পা দেয়নি পুলিশ প্রশাসন। একটা জায়গায় কিছু মানুষের ক্ষোভ আছে। এখন পরিস্থিতি শান্ত। প্রশাসন যা করার তা করবে। মানুষ আস্তে আস্তে বুঝতে পারবেন, তৃণমূল কংগ্রেস সংবেদনশীল। তৃণমূল ব্যবস্থা নিচ্ছে। এরা চায় রোজ গণ্ডগোল হোক। বাম জমানায় একের পর এক জায়গায় পুলিশের যে ভূমিকা থাকত, তা এখানে হয়নি। গণতান্ত্রিক আন্দোলনে গুলিয়ে চালিয়ে দিত! এখানে অবাধ গণতান্ত্রিক পরিবেশ। বাম জমানায় এতক্ষণে পুলিশের বেপরোয়া মারত, গুলি চালাত। এসব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জমানায় হয় না।'
সন্দেশখালিতে অভিযুক্ত নেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলেও মনে করিয়ে দিয়েছেন তৃণমূল মুখপাত্র। কুণালের কথায়,'পার্থ ভৌমিক দলের কড়া মনোভাবের কথা জানিয়ে দিয়েছেন। ৪ সদস্যের তদন্ত কমিটি রিপোর্ট দিয়েছে। তার পর উত্তম সর্দারকে ৬ বছরের জন্য দল থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। সন্দেশখালি এখন শান্ত। শকুনের রাজনীতি করছে সিপিএম, কংগ্রেস, বিজেপি। রাজ্যপাল এদের ফাঁদে পা দেবেন না।'