বাংলায় আবারও ওড়িশার কালাহান্ডির ছায়া। জলপাইগুড়ি, কালিয়াগঞ্জের পর এবার মালদার বামনগোলা। অ্যাম্বুল্যান্স না মেলায় খাটিয়ায় চাপিয়ে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মৃত্যু হল রোগিনীর। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে খাটিয়া দড়ি বেঁধে নিয়ে যাওয়ার ভিডিও। এই ভিডিও সত্যতা যাচাই করেনি বাংলা ডট আজতক ডট ইন।
মালদার বামনগোলা ব্লকের গোবিন্দপুর মহেশপুর অঞ্চলের মালডাঙা গ্রামের ঘটনা। রাস্তা না থাকায় প্রাণ হারালেন ১৯ বছর বয়সী এক তরুণী। মৃতার নাম মামনি রায়। জানা গিয়েছে, অসুস্থ মামনিকে হাসপাতালে ভর্তি করাতে ফোন করা হয়। কিন্তু রাস্তা খারাপ থাকায় অ্যাম্বুল্যান্স গ্রামে আসতে চায়নি। তখন পরিবারের লোকেরা খাটিয়াতে দড়ি বেঁধে ঘাড়ে করে নিয়ে যান রোগিনীকে। এমন দৃশ্য ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়। প্রায় সাড়ে চার কিলোমিটার রাস্তা খাটিয়ায় রোগীকে নিয়ে হাসপাতালে পৌঁছেও বাঁচানো যায়নি মামনিকে। তিন ঘণ্টা পরে হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
মামনির পরিবারের দাবি, রাস্তা খারাপ বলে আসেনি অ্যাম্বুল্যান্স বা টোটো। খাটিয়ায় চাপিয়ে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় পথে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। বিরোধীদের প্রশ্ন, কোথায় উন্নয়ন? রাস্তা খারাপ থাকায় মৃত্যু হচ্ছে মানুষের। এই ঘটনায় তৃণমূলের প্রতিক্রিয়া,'বিচ্ছিন্ন ঘটনা।'
রাস্তার জন্য বিডিও অফিসে বহুবার আবেদন করা হয়েছিল। কিন্তু প্রতিশ্রুতি দেওয়া সত্ত্বেও রাস্তা হয়নি। তৃণমুল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি রহিম বক্সী ফোনে জানান এই ঘটনার কথা আমার জানা নেই। রাজ্য সরকার যেভাবে বিনামূল্যে চিকিৎসার ব্যবস্থা করছেন এরকম কোনও ঘটনা ঘটার কথা নয়! যদি ঘটে থাকে তাহলে খতিয়ে দেখা হচ্ছে বিষয়টি। বিজেপি নেতা বীণা কীর্তনীয়া বলেন,'পথশ্রী প্রকল্পে নাকি এত রাস্তা হয়েছে! কিন্তু কোথায় হয়েছে? বামনগোলের রাস্তা হলে মধ্যযুগীয় বর্বরতার এমন ছবি দেখতে হতো না। ১৯ বছরে প্রাণ হারাতে হত না।'